নড়াইলের নড়াগাতীতে চাঞ্চল্যকর শিশু হামিদা হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন আসামি গ্রেফতার।

সেখ রাসেল, ব্যুরো চিফ, খুলনা।
গত ১৪/১১/২০২৪ তারিখ নড়াইল নড়াগাতী থানাধীন পাকুড়িয়া গ্রামে হামিদা (৬), পিতা-শাহানুর সেখ হত্যাকান্ডের শিকার হয় প্রতিবেশি রবিউল সিকদারের স্ত্রী ফরিদা বেগম কর্তৃক। উক্ত ঘটনায় নড়াইল নড়াগাতী থানার মামলা নং-২ তারিখ (১৫/১১/২০২৪) ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। উক্ত হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানা পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে। অতঃপর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় গত (১/১২/২০২৪) তারিখ ০৯:০৫ ঘটিকায় রবিউল সিকদারের মেয়ে সুমি খানম (১৪) কে এবং গত (১৯/১২/২০২৪) তারিখ রবিউল সিকদার ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। আসামি ফরিদা বেগমের বর্ণনা অনুযায়ী ভিকটিম মৃত হামিদা তাদের প্রতিবেশি শাহানুর শেখ ও হাওয়া বেগমের মেয়ে। ভিকটিমদের সাথে আসামিদের পারিবারিক কলহ নিয়ে ছিল। এছাড়াও রবিউলদের বাড়ির অপর পাশে তোতা সিকদারদের সাথেও তাদের পারিবারিক কলহ ছিল। পারিবারিক কলহের জের ধরে তোতা সিকদার ও তার ছেলে ফেরদৌস রবিউল ও তার স্ত্রীকে মারধর করে। উক্ত মারধরের ঘটনায় রবিউলের পরিবারের মধ্যে রাগ ও ক্ষোভের জন্ম হয় এবং তারা প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে। উক্ত পরিকল্পনা মোতাবেক ফরিদা বেগম তার মেয়ে সুমিকে দিয়ে কিছু চিরকুট লেখায় ও ভিকটিম হামিদাদের বাড়ির আশপাশে আগুন দেয়। এই চিরকুট লেখা ও আগুন দেওয়ার বিষয়ে বারবার রবিউল ও তার পরিবারের সদস্যরা তোতার ছেলে ফেরদৌসকে দোষারোপ করে। উক্ত ঘটনা গুলো একাধিকবার হলে ভিকটিম হামিদার পরিবারের সদস্যরাও ফেরদৌসকে সন্দেহ করতে থাকে। এই সুযোগে ফরিদা বেগম গত বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে হামিদাকে একা পেয়ে মুখচেপে ধরে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে একটি সাদা রং এর প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে ধান ক্ষেতে রেখে আসে। আসামি ফরিদা বেগমকে যেন কেউ সন্দেহ না করে এজন্য সে ভিকটিম হামিদার বাবা ও রবিউলের সাথে ধান ক্ষেতে পানি দিতে যাই এবং উক্ত হত্যাকান্ডের দায় ভার তোতা ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর দেয়। আসামি ফরিদা বেগম অপরাধ স্বীকারপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *