বটিয়াঘাটা উপজেলার মঠের খেয়াঘাটে যাত্রী পারাপারে অনিয়ম, জনদুর্ভোগ চরমে

সেখ রাসেল, ব্যুরো চিফ, খুলনা:

বটিয়াঘাটা উপজেলার ২নং সদর ইউনিয়নের ফুলতলায় অবস্থিত মঠের খেয়াঘাটে অনিয়মের মাত্রা চরম সীমা অতিক্রম করেছে। সূত্রে প্রকাশ মঠের খেয়া ঘাট দিয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলার সাথে তিন ইউনিয়ন সহ যোগাযোগ বালিয়াডাঙ্গা,ভান্ডারকোট,ও আমিরপুর জনগনের অধিকাংশই এই ঘাট পার হয়ে বটিয়াঘাটা, খুলনা ও চালনায় যাতায়াত করে থাকে।

এদিকে বটিয়াঘাটা, গঙ্গারামপুর,সুররখালী সহ শহর থেকে প্রতিদিন শতশত চাকুরিজীবি নদী পার হয়ে বিরাট, ঝালবাড়ী, বুজবুনিয়া, ভান্ডারকোটসহ বিভিন্ন এলাকায় স্কুল, কলেজ, ব্যাংক, হসপিটালের রোগীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদের কর্মস্থলে যায়। কিন্তু তাদের পারাপারের মাধ্যম মঠের খেয়াঘাটে মাত্র একটি খেয়ার নৌকা থাকায় তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। একটি খেয়া মিস করলে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট বসে থাকতে হয়। এদিকে ঘাটের সরকারি টোল জনপ্রতি ৫ টাকা ধার্য থাকলেও প্রত্যেকের কাছ থেকে দ্বিগুণ ১০ টাকা নেওয়া হয়। প্রতিটি মটর সাইকেল ২০ টাকা ধার্য থাকলেও নেয়া হয় সর্বনিম্ন ৬০ থেকে ১০০ টাকা।

ঘাটের টোল আদায়কারী মিন্টুর নিকট জানতে চাইলে তিনি অকপটেই স্বীকার করে নেন, জনপ্রতি ১০ ও মোটর সাইকেল প্রতি ৬০ টাকা নিয়ে থাকি।এত জনবহুল একটি ঘাটে মাত্র একটি নৌকা দিয়ে ঘাট মালিক ঘাট চালিয়ে যাচ্ছে এটা ভাবাই যায়না। ঘাটের মাঝিদের কাছে নৌকা বাড়ানোর কথা জানতে চাইলে তারা বলেন নৌকায় কাজ করাচ্ছি।এদিকে সন্ধা ৭ টার পর এই ঘাটের ওই ১টি নৌকা ও বন্ধ করে দেওয়া হয়।৭ টার পর কারো কোনো আত্মীয় স্বজন মারা গেলেও বিকল্প পথ ছাড়া এই ঘাট দিয়ে পার হওয়া যায়না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক যাত্রীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন এই ঘাটে সবসময়ই এরা বেশি টোল নিয়ে থাকে, বিকল্প ব্যবস্হা না থাকায় বাধ্য হয়ে আমাদের এদের অনিয়ম সহ্য করতে হয়।তারা আরও বলেন এরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ এদের উপর কথা বলেনা।অবিলম্বে ঘাটের পারাপারের টোলের চার্ট ঘাটে টানানোর জন্য এবং জলদি নৌকা বৃদ্ধির জন্য জোর দাবি এলাকাবাসীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *