খুলনা বটিয়াঘাটায় সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ফাস ও দুর্নীতির অভিযোগ সাংবাদিকের সংবাদ সংগ্রহে বাধা

সেখ রাসেল, ব্যুরো চিফ, খুলনা:
​খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার লবনচরা বিশ্বরোড সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষক মোঃ এ মীর কাশেম ও জগদীশ চন্দ্র বর্মন দীর্ঘ দিন ধরে ব্যাক্তিগত কোচিং সেন্টার খোলার অভিযোগ সহ বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা একটি মানব বন্ধনের আয়োজন করে।
উল্লেখিত বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যেয়ে বাধার সম্মুখীন হতে হয় সাংবাদিকদের। আজ সোমবার সকাল সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে পৌছালে ছাত্র ছাত্রীদের কাছে জানা যায়, তাদের স্কুলের মোঃ এ মীর কাশেম ও জগদীশ চন্দ্র বর্মন নামে দুজন শিক্ষক ব্যক্তিগতভাবে বাইরে একটি কোচিং সেন্টার খুলেছেন,যা সরকারি ভাবে কোন অনুমতি নাই।
উক্ত স্কুলের ছাত্রী কারিমা, ফারিহা জানান,”মোঃ এ মীর কাশেম স্যার আমাদের সাথে খারাপ কথা বলে,খারাপ ব্যাবহার করে। তার কোচিং সেন্টারে যে না পড়বে তাকে পরীক্ষায় ফেল করানো, বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেওয়া হয়। আমাদের এ্যাবেলিটি নাই যে, তার কোচিং-এ মাসে ১৫০০ টাক দিয়ে পড়ার। ওনার কারনে অথই নামে একটি মেয়ে স্কুল থেকে চলে আসছে। মোঃ এ মীর কাশেম স্যার হুমকি দেন, আমার কাছে ৪০% নাম্বার, আমি চাইলে তোমাদের ক্যারিয়ার নষ্ট করে দিতে পারি, আমি চাইলে তোমাদের পাশ করিয়ে দিতে পারি, তোমরা সঠিক পদ চিনতেছো না, আমি তোমাদের এমন ভাবে সায়েস্থা করবো যা তোমরা বুঝতে পারছোনা। যদি তোমরা ভাল রেজাল্ট করতে চাও তাহলে আমার সাথে গোপনে কথা বলো, উনি প্রশ্ন ফাস করে তার কোচিং-এর ছাত্র ছাত্রীদের দেয়।” তারই প্রতিবাদে মোঃ এ মীর কাশেম স্যারকে অপসারণ ও জগদীশ চন্দ্র বর্মন স্যার কে বদলীর দাবিতে মানববন্ধন এর আয়োজন করেন স্কুলের ছাত্র – ছাত্রীরা। উক্ত বিষয় জানতে পেরে, যাতে মানব বন্ধন না করতে পারে তার জন্য ছাত্র ছাত্রীদের বাসায় লোক পাঠিয়ে হুমকিও দিয়েছে কাশেম স্যার। সকল বাধা উপেক্ষা করে ছাত্র ছাত্রীরা মানব বন্ধন করতে গেলে সঠিক বিচারের আশ্বাস দিয়ে সুপার সহ অন্যান্য শিক্ষকরা মানব বন্ধন বন্ধ করে দেন এবং ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাস রুমে আটকে রাখেন। উক্ত মানববন্ধনের বিষয়ে সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের সুপার এর সঙ্গে এবং ছাত্র ছাত্রীদের সাথে দেখা করতে গেলে প্রথমে সাংবাদিকদের গেটে ঢুকতে বাধা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে কিছু সময় অপেক্ষার পর সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে ঢুকতে দিলেও ছাত্র ছাত্রীদের বক্তব্য ভিডিও করার এক পর্যায়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মোহাইমিনুল সাংবাদিক ইমরান হোসেনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।এক পর্যায়ে বাক-বিতন্ডা সৃষ্টি হলে লবনচরা থানার এস আই বিল্লাল হোসেনের সহযোগিতায় সাংবাদিকদরা নিরাপদে কলেজ থেকে বের হতে সক্ষম হয়।

এছাড়া জানা যায়, ঐ কলেজের কর্মকর্তাগণ ফ্যাসিস্ট স্বৈরশাসকের নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মকর্তা যার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ করতে ভয় পাই। তবে শিক্ষক জগদিশ চন্দ্র বর্মন ও কাশেম সাহেব ফোনে জানান, আমি এখন কোন কোচিং করি না, আগে করাইতাম। তবে ছাত্র ছাত্রীদের দাবি এখনো ছাত্রীদের জিম্মি করে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *