জামায়াত আমির, ভারত থেকে চোখ রাঙিয়ে বাংলাদেশ শাসনের চিন্তা করবেন না

সেখ মোঃ রাসেল হোসেন, ব্যুরো চিফ, খুলনা:
ভারত থেকে চোখ রাঙিয়ে আর বাংলাদেশ শাসনের চিন্তা করবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, আপনাদেরকে প্রতিবেশী হিসেবে সম্মান করি। আপনারাও আমাদেরকে সম্মান করতে শিখুন। বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের জনগণকে সম্মান দিতে শিখুন।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে খুলনার পাইকগাছায় গদাইপুর ফুটবল ময়দানে অনুষ্ঠিত পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পাইকগাছা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা সাঈদুর রহমানের সভাপতিত্বে পথ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ভারত থেকে চোখ রাঙিয়ে বাংলাদেশ শাসনের চিন্তা করবেন না। বাংলাদেশের মানুষ এখন চোখে চোখ রেখে কথা বলার সাহস অর্জন করেছে। দেশের মানুষ বুক পেতে দিয়ে, ডানা মেলে দিয়ে বলতে পারে গুলি কর। সেই দেশের মানুষকে আর ভয় দেখাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না, তিনি ছিলেন সেবাদাসী। এ জন্য তিনি দাসত্বের শৃঙ্খলে জনগণকে বন্দি করতে চেয়েছিলেন। আমাদের সন্তানদের নেতৃত্বে সেই শৃঙ্খল জাতি ভেঙে ফেলেছে। দিল্লি বসে ষড়যন্ত্র করছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তাদের দোসররা। সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।’
এ সময় তিনি বিডিআর হত্যাসহ সকল হত্যা ও গুমের বিচার দাবি করেন। সকল দুর্নীতি, অর্থপাচার, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডেরও বিচার দাবি করেন জামায়াতের আমির। আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার নেতৃত্ব যুব সমাজের হাতে তুলে দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭ টায় খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারোমাইল বাজার মোড়ে পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াত আমির।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আবহমান কাল থেকে আমাদের এই দেশটির সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করি। এমন একটি দেশ দুনিয়ায় কমই আছে। এমন একটি দেশকে বিগত দিনে যারা শাসন করেছেন একটানা সাড়ে ১৫ বছর, তারা মনের মতো করে সাজাতে পারেননি। তারা দেশকে না সাজিয়ে নিজেদেরকে সাজিয়েছে। দেশের মানুষের হাতে কাজ তুলে দেয়ার পরিবর্তে দেশের মানুষের রিজিক তারা তুলে নিয়েছে। লাখো বেকারের মিছিলে জনগণ ছিল স্পৃষ্ঠ। এই সর্বনাশের জন্য সরকার দায়ী।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *