নৌ নেতৃত্ব গঠনে মেরিন একাডেমিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে

অনলাইন ডেস্ক: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ বলেছেন, বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলো বিশ্বমানের নৌ নেতৃত্ব গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, আমাদের মেরিন সেক্টরে দক্ষ জনবল রয়েছে। তাদের দক্ষতাকে আরও শক্তিশালী করতে অব্যাহত প্রশিক্ষণ ও কঠোর অনুশীলন জরুরি। সরকার ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এই প্রশিক্ষণের মান বাড়ানোর জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

আজ বুধবার রংপুরের পীরগঞ্জে অবস্থিত বাংলাদেশ মেরিন একাডমিতে তৃতীয় ব্যাচের গ্রাজুয়েশন কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে থেমে থাকা শিপিং কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে বর্তমান সরকার কাজ করছে। ফলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন, এই সেক্টরের উন্নতি ও দক্ষ কর্মী তৈরি করার জন্য মেরিন একাডেমির সংখ্যা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। বাংলাদেশের মেরিনাররা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জাহাজে কাজ করছেন, যা দেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।

সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের মেরিন একাডেমির গ্রহণযোগ্যতা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। মেরিন ক্যাডেটরা শুধু প্রশিক্ষিত হবে না, তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়বে, যা বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে সহায়ক হবে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনে বাংলাদেশের মেরিন একাডেমি ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনে (আইএমও) প্রতিনিধিত্ব করবে।

তিনি বাংলাদেশের নৌ-শিপিং খাতের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের বর্তমান আটটি জাহাজের সংখ্যা বাড়িয়ে ১৬টি করার পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন।

পীরগঞ্জে বাংলাদেশ মেরিন একাডমিতে তৃতীয়বারের মতো নটিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাডেটদের গ্র্যাজুয়েশন কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে রংপুর মেরিন একাডেমির তৃতীয় ব্যাচের ৪৫ জন ক্যাডেট অংশ নেন। পরে সিনিয়র সচিব প্যারেড পরিদর্শন করে পুরস্কার বিতরণ করেন।

এবছর রংপুর একাডেমি থেকে সব বিষয়ে সর্বোচ্চ কৃতিত্বের জন্য কমান্ড্যান্ট স্বর্ণপদক পেয়েছেন ক্যাডেট ক্যাপ্টেন আবু হানজালা। এছাড়াও সব বিষয়ে অধিক নম্বর প্রাপ্ত হয়ে রৌপ্য পদক পেয়েছেন কুতুব উদ্দিন এবং মহি উদ্দিন জাকারিয়া।

এ সময় রংপুর মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট ক্যাপ্টেন সাঈদ সাত্তার, রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসন এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পরে অতিথিরা একাডেমি প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন। তারা ক্যাডেটদের নতুন পদযাত্রার সফলতা কামনায় কেক কাটেন এবং আনুষ্ঠানিক ফটো সেশনেও অংশগ্রহণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *