বিষ্ণুপুরে শত্রুতার জেরে মৎস্য খামারের বাঁধ কেটে ফেলার মাছ ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলা বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে শত্রুতার জেরে মৎস্য খামারের বাঁধ কেটে মাছ ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে গত ১৪ নভেম্বর দুপুর ১২ টায় ৮ নং ওয়ার্ড পূর্ব খেরুদিয়া হাজরা বাড়িতে । জানাযায়, বাচ্চু হাওলাদারের ছেলে মুন্না হাওলাদার নিজস্ব অর্থায়নে ১৭ লাখ টাকা ব্যায়ে ২ বছর যাবৎ ১২ বছরের জন্য লিজ কৃত ১ একর ১০ শতক জমিতে মৎস্য খামার তৈরি করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছেন। গত বুধবার দিবাগত রাতে শত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা খামারে বাঁধ কেটে মাছ ৯ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছেড়ে দেয় । গত১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার মুন্না হাওলাদারের শাশুড়ী রাবেয়া ৪৫ সকালে মৎস্য খামারে বাঁধ কাটা আর খামারে পানির শুন্য দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোক জন এসে মৎস খামারে মালিক কে খবর দেয়। পরে দুপুর ১২ টায় খামারে মালিক মুন্না এসে দেখে তার বাঁধ কাটা মাছ শুন্য খামার তা দেখে অজ্ঞান হয়ে যায়।পরে তাকে প্রাথমিক চিকিসা দিয়ে সুস্থ করে।
এবিষয়ে মৎস্য খামারের মালিক মুন্না হাওলাদার বলেন,আমি নিজস্ব অর্থায়নে ১৭ লাখ টাকা ব্যায়ে ২ বছর যাবৎ ১২ বছরের জন্য লিজ কৃত ১ একর ১০ শতক জমিতে মৎস্য খামার তৈরি করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করি। আমি ইব্রহীম হাজড়া কাছ থেকে লিজ নিয়ে ছিলাম এটা নিয়ে মামলা চলে তা আমি জানিনা গত বুধবার বিকেলে সফিক হাজড়া,পিতা ছায়েদ আলী হাজড়া, ওয়াদুদ হাজড়া পিতা শরবত আলী হাজড়া বলে এই জায়গা মামলার রায় পেয়েছি। তুমি তোমার মাছ নিয়ে যাও আর না হয় আমরা মাছ ধরে নিয়ে যাবো এ বলে চলে যায়।পরে দিন বৃহস্পতিবার সকালে আমার খামারে বাঁধ কেটে মাছ ছেড়ে দেয় এতে আমার ক্ষতি সাধন হয় ১৭ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী বলেন, যারা এই ঘটনাটা ঘটিয়েছে এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে।
এ বিষয়ে সফিক হাজড়া,ওয়াদুদ হাজড়া সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের কে পাওয়া যায়নি।
চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।