যশোরে কুয়েত প্রবাসী মেহের আলী হত্যার রহস্য উদঘাটন, নাটোর ও যশোর থেকে গ্রেফতার-০৩, গুলি উদ্ধার।
মশিউর রহমান : যশোর জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব নূর-ই-আলম সিদ্দিকী এবং শহিদুল ইসলাম হাওলাদার, ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ, ডিবি এর তত্ত্বাবধানে ডিবি’র টিম জেলায় সংঘটিত বিভিন্ন চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ অবৈধ অস্ত্রগুলি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
গত ০৫ আগষ্ট অভ্যুত্থানের পর যশোর বাদিয়াটোলা সাকিনের কুয়েত প্রবাসী বিএনপি সমর্থক মেহের আলীকে ইং ০৯/০৮/২০২৪ তারিখ রাত ১১.৪৫ ঘটিকার সময় অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতকারীরা গুলি করে হত্যা করে। এই সংক্রান্তে মেহের আলীর পিতা বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-১৩ তাং-১২/০৮/২০২৪ খ্রিঃ ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম এর নেতৃত্বে একটি চৌকশ টিম ইং ১১/১১/২০২৪ তারিখ বিকাল ১৫.৩০ ঘটিকায় নাটোর সিংড়া থানার ভুমি অফিস এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত পলাতক আসামী তারেক হোসেনকে গ্রেফতার করে তাকে নিয়ে ১২/১১/২০২৪ তারিখ রাত ০১.৩০ ঘটিকার সময় যশোর নলডাঙ্গা সাকিনে অভিযান করে ভাড়া করা কিলার সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে যশোর নতুন খয়ের তলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রাত ০৪.১০ ঘটিকার সময় রিয়াজ উদ্দিন নামের আরেকজনকে গ্রেফতার করে ০৪ রাউন্ড গুলি, ওয়াকিটকি, হত্যার মিশনে ব্যবহৃত ১টি পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করে জব্দ করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত মেহের আলী এলাকায় তার প্রতিপক্ষ প্রবাসী শহর আলী ও তার ছেলে হাসানদের সাথে দীর্ঘ শত্রুতার কারণে মেহের আলী সরকার পতনের পর শহর আলীর বাড়িতে আক্রমনের হুমকি দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিদেশ থেকে হত্যার পরিকল্পনা করে ভাড়া কিলার আকাশ ও সাজ্জাদকে ১ লক্ষ টাকা চুক্তি করে তারেক, রিয়াজ ও রকির সহযোগীতায় গুলি করে হত্যা করে মেহের আলীকে। এর আগে আকাশ ও রকিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর তথ্য:
১। মোঃ তারেক হোসেন (২২), পিতা- আঃ কুদ্দুস, সাং- বাদিয়াটোলা, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর।
২। মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (২১), পিতা- নুরুল ইসলাম দুলাল, সাং- বাঁশবাড়িয়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর।
৩। মোঃ রিয়াজ উদ্দিন (২৩), পিতা- হাফিজুর রহমান, সাং- ঝাউদিয়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর।
উদ্ধারকৃত আলামতঃ
১। ০৪ রাউন্ড পিস্তলের গুলি।
২। হত্যার মিশনে ব্যবহৃত ১টি পালসার মোটরসাইকেল।
৩। ১টি ওয়াকিটকি।
৪। ১টি মোবাইল ফোন।