বন্দরে ১০ ঘন্টার ব্যবধানে নারী- পুরুষের মরদেহ উদ্ধার
স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ১০ ঘন্টার ব্যবধানে পৃথক দু’টি স্থান হতে নারী-পুরুষের দু’টি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৫ অক্টোবর শনিবার রাত সোয়া ১২টায় থানার মুসাপুর ইউনিয়নের বারপাড়া গ্রাম থেকে শরীফ হোসেন(৪৫) ও ৬ অক্টোবর রোববার সকাল ১০টায় বন্দর ইউনিয়নের কুশিয়ারা তিনগাঁও এলাকা হতে সেলিনা বেগম(৪৮)এর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে শরীফ হোসেন বারপাড়া গ্রামের মৃত বজলুর রশীদের ছেলে এবং সেলিনা বেগম তিনগাঁও এলাকার রবিউল হোসেনের স্ত্রী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,ভিকটিম শরীফ পেশায় একজন ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী। দীর্ঘ দিন ধরে সে বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋন নিয়ে ঋনগৃস্থ হয়ে মানসিক চাপে ভুগছিলেন। উপায়ন্তর না পেয়ে ৫অক্টোবর দিবাগত রাতে সকলের অজান্তে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না প্যাচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে। অপরদিকে সেলিনা বেগম গত বৃহস্পতিবার তাদের পুরাতন বাড়ি নবীগঞ্জ রেললাইন সংলগ্ন কাজী বাড়ি থেকে কুশিয়ারা তিনগাঁওয়ের নতুন বাড়িতে যাওয়ার পর হতে তার স্বামী ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। ২দিন পর তার পুত্রবধূ ফাতেমা বেগম নতুন বাড়িতে গেলে গেটের তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে সেলিনা বেগমকে অর্ধগলিত অবস্থায় দেখতে পায়। নিহতের স্বামী রবিউল এর ভাষ্যমতে, নিহত শেলিনা ১৪ বছর প্রবাসে ছিলেন। তার সাথে নুরু এবং রাজা মিয়ার টাকা-পয়সার লেনদেন ছিলো। নুরুর কাছে ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা পাওনা ছিল আমার স্ত্রী শেলিনা। আমার সন্দেহ পাওনা টাকা লেনদেনের কারনে এই ঘটনার সূত্রপাত। এদিকে নৃশংস ভাবে নিহত শেলিনার মেয়ের বক্তব্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, তিনি বলেন ঘটনাটি পরকীয়া সংক্রান্ত হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে ২দিন আগে তাকে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ নিহত দু’নারী-পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম দু’টি ঘটনাস্থলই পরিদর্শণ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন বারপাড়ার ঘটনটি প্রাথমিকভাবে আত্নহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে তবে তিনগাঁওয়ের ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। ময়না তদন্ত রিপোর্ট এবং তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।