শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সাংবাদিকের জমি জবরদখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ
জাহাঙ্গীর হোসেন, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে দৈনিক ইত্তেফাকের ঝিনাইগাতী উপজেলা সংবাদদাতা খোরশেদ আলমের জমি জবরদখল করে জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে লুৎফর রহমান নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
লুৎফর রহমান উপজেলার সদর ইউনিয়নের দীঘিরপাড় গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে।
খোরশেদ আলম এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলমের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বেদখলীয় জমির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সহকারি কমিশনারকে (ভুমি) নির্দেশ দেন। সে প্রেক্ষিতে সহকারি কমিশনার (ভূমি) অনিন্দা রানী ভৌমিক লুৎফর রহমানকে উক্ত জমিতে স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে তাকে (লুৎফর রহমান) তর্কিত জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তার দপ্তরে দেখা করতে বলেন।
কিন্তু লুৎফর রহমান সহকারি কমিশনারের (ভূমি) নির্দেশ অমান্য করে তর্কিত জমিতে স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
খোরশেদ আলম জানান উপজেলা সদরের ব্রীজ রোডের দক্ষিণ পাশে চল্লিশ কাহনিয়া মৌজায় জেলএল নম্বর-৪৭,আরওআর খতিয়ান নম্বর ১৪/ ১৬, দাগ নম্বর-৫৪৩/৫৪৭ তে পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত তার ১০ শতক জমি পরিত্যাক্ত অবস্থায় ছিল।
উক্ত জমির উপর দিয়ে ঝিনাইগাতী বাজারের পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি ড্রেনও ছিল।
অভিযোগে প্রকাশ গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খোরশেদ আলমের অজান্তে লুৎফর রহমান ওই জমির উপর থাকা ড্রেনসহ ওই জমিতে মাটি ভরাট করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেন । খোরশেদ আলম তার জমিতে স্থাপনা নির্মাণ কাজে বাঁধা দিলে লুৎফর রহমান ও তার লোকজন খোরশেদ আলমকে প্রাননাশের হুমকি দেন। এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন খোরশেদুর রহমান। কিন্তু থানা পুলিশ এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল খোরশেদ আলমকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
লুৎফর রহমানে জানান খোরশেদ আলমের চাচাতো ভাই ও আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে তিনি উক্ত জমি ক্রয় করে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে খোরশেদ আলম ন্যায়বিচার চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।