ধোয়াশায় রয়ে গেল রুবেল মিয়ার মৃত্যুর রহস্য

মোঃ আরিফুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার: ৩১ সেপ্টেম্বর শনিবার প্রায় ৮ মাস ঘরে আটকিয়ে রাখার পর রুবেল(৩৩+) মিয়াকে তার ছোট ভাই পুলিশ সদস্য মোঃ নাঈম আহাম্মেদ (৩২) তাকে সকালে ঘর থেকে বের করে নিয়ে আসেন। সেই দিন নাঈম আহাম্মেদ তাকে মাথার চুল, দাঁড়ি কাটার জন্য গ্রামের বাজারে নিয়ে যান এবং কাজ শেষ করে আসেন, সে সময় রুবেল মিয়া স্বাভাবিক ভাবেই পরিচিতদের সাথে কথা বলেন এবং তাকে ছেড়ে দিয়েছে এ ব্যাপারে রুবেল মিয়া অত্যান্ত আনন্দিত ছিলেন। সারা দিন তিনি হাসি খুশি ছিলেন।
স্হানীয় সুত্রে জানা যায় রাত আনুমানিক ৯ টার দিলে চায়ের দোকানে বসে তার ভাইয়ের সাথে চা খেয়েছেন ও অনেকের সাতে কথাও হয়েছে।

রুবেল মিয়ার মা আছিয়া খাতুন বলেন ২০০৮ সালে
আমার স্বামী মারা যায়, এবং তার পর থেকেই এই ছেলে নেশা করা শুরু করে, আমরা অনেক চেস্টা করেও তাকে নেশা থেকে ফেরাতে পারিনি,বেশ কয়েক বছর এভাবে চলতে থাকলে আমরা তার অত্যচারে অতিষ্ঠ হয়ে ২০২৩ সালের প্রথম দিকে শেরপুর জেলার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সেন্টারে তাকে ভর্তি করা হয়, ৭-৮ মাস পর সেখান থেকে রুবেল মিয়া পালিয়ে আসেন।
বাড়ীতে এসে বেশ কিছু দিন ভালই ছিল,পরে আস্তে আস্তে আবার মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে যায় এবং আমরা পরিবারের সকলেই অতিষ্ঠ হয়ে তাকে একটি আলাদা ঘরে আটকিয়ে তালা বন্ধ করে রাখি। ঘটনার দিন রুবেল তার আটকিয়ে রাখার ঘরের চাল কেটে নেমে আসার সময় পরে গিয়ে সে হাতে পায়ে আঘাত পায় এবং ঐ দিন রাতেই রুবেল আনুমানিক ৩ টার দিকে হার্ট অ্যাটাক মারা যান।
শেরপুর জেলার সদর উপজেলা ৭ নং ভাতশালা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড কুঠুড়াকান্দা পূর্ব পাড়া গ্রামের মৃত খোকা মিয়ার তৃতীয় ছেলে রুবেল মিয়া। আরও তিন ভাই হলেন, মোঃ প্রিন্স, (৩৬+) গার্মেন্টস কর্মী, মোঃ রুমান মিয়া(৩৪)রিক্সা চালক। মোঃ নাঈম আহাম্মেদ কর্মরত পুলিশ সদস্য।
স্হানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদে একজন জানান রুবেল মিয়ার দুটি হাত ভাঙ্গা এবং দুই পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর একজন জানান তার একটি হাত ভাঙ্গা এবং অন্য হাতে ঘোরতর আঘাত সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখা গেছে।
আশেপাশের লোকজন জানান ঘঠনার দিন রাত ১২ টার পরে সেই বাড়ী থেকে চিৎকারের শব্দ শুনা গিয়েছে এবং দীর্ঘ সময় চিৎকারের শব্দ শুনেছে আশেপাশের লোকজন। আলাদা বাড়ি হওয়ায় লোকজন সেখানে যেতে পারেনি। পরে ফজর নামাজের সময় মসজিদের মাইকে হার্ট অ্যাটাকে রাত ৩ টার দিকে রুবেল মিয়া মারা গিয়েছেন খবরটি প্রচার করা হয়।
পরদিন ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টার দিকে তাড়াহুড়ো করে অল্প সংখ্যক লোকে জানাজা শেষে রুবেল মিয়াকে বাড়ীর পাশে দাফন করা হয়।
মৃত রুবেল মিয়াকে দেখতে না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় জনগনের। এটা স্বাভাবিক মৃত্যু না হত্যা জানতে চায় জনগন।
শেরপুর জেলাার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাছে রুবেল মিয়ার মৃত্যুর সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি (অপরাধ তথ্য চিত্রকে) বলেন, আমি এব্যাপারে কিছু জানিনা, তবে আমার কাছে অভিযোগ আসলে আমি অবশ্যই অভিযোগ গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *