আন্দোলনের ছবি-ভিডিও পোস্ট রাবির সাবেক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে বিস্ফোরক মামলায় কোর্টে চালান
ডেস্ক রিপোর্ট: কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট ও শেয়ার করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রাশেদ রাজনকে সাদা পোশাকধারী কিছু লোক তুলে নিয়ে গেছে। পরে বিস্ফোরক মামলায় তাকে কোর্টে চালান করেছে মতিহার থানা পুলিশ। সোমবার (২৯ জুলাই) রাজশাহী নগরীর কোর্ট স্টেশন এলাকা থেকে কয়েকজন সাদা পোশাকধারী তাকে তুলে নিয়ে যায়। রাবির সাবেক এই শিক্ষার্থী উর্দু বিভাগ থেকে সম্প্রতি পড়ালেখা শেষ করেছেন। বর্তমানে তিনি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর আগে তিনি ক্যাম্পাস লাইভ পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে ৫ বছর কাজ করেছেন।
রাশেদ রাজনের ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা যায়, গত ২৯ জুলাই সারাদেশের শিক্ষার্থীদের একাত্মতা পোষণ করে শিক্ষার্থীরা ঢাকা রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এমন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন রাশেদ রাজন। এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও পোস্ট ও শেয়ার করায় তাকে ডিবি পরিচয়ে নগরীর কোর্ট স্টেশন এলাকা থেকে তুলে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে ৩০ জুলাই তাকে কোর্টে চালান করে দেওয়া হয়। রাবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, ছাত্রদের আন্দোলন পুরো দেশব্যাপী ছড়িয়ে গেছে। সে যায়গা থেকে অনেকেই আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছেন। আবার যারা সরাসরি না যুক্ত হতে পারছেন, তারা অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্দোলনের ছবি-ভিডিও পোস্ট করে নিজে প্রতিবাদ করছেন। রাশেদ রাজন ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করায় সকলের সাথেই ভালো সম্পর্ক বজায় ছিলো। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে নিজেও দেশজুড়ে গণহত্যার প্রতিবাদ করছেন। আমরা তার গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, পুরো দেশটা এখন জেলখানা। যাকে ইচ্ছে তাকেই রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে যাচ্ছে, গ্রেপ্তার করছে ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে।
মতিহার থানার ওসি শেখ মোবারক পারভেজ বলেন, রাশেদ রাজন নামের ওই শিক্ষার্থীকে ডিবি পুলিশ আটক করেছিলেন। পরে থানায় পাঠানো হলে তাকে কোর্টে চালান করা হয়। বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।