ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে শিক্ষার্থীদের অবরোধে দীর্ঘ যানজট

ডেস্ক রিপোর্ট: সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অবরোধের ফলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

আজ শনিবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় মহাসড়কের শহর বাইপাস আশেকপুর এলাকায় অবস্থান করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা। দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁরা এ বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন। ছাত্রসমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় অনেকের হাতে ব্যানার ও ফেস্টুন ছিল। এ সময় তাঁরা ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘একাত্তরের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক মেধাবীরা মুক্তি পাক’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁরা এ বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন। ছাত্রসমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় অনেকের হাতে ব্যানার ও ফেস্টুন ছিল। এ সময় তাঁরা ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘একাত্তরের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক মেধাবীরা মুক্তি পাক’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল। পরিপত্র পুনর্বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (১ম থেকে ৪র্থ শ্রেণী) সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে কোটা ‘সংস্কার’ করা। কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করা।

এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীন বাংলায় সেই বৈষম্য যেন আর না থাকে তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ জেগে উঠেছেন। দেশে বর্তমান সময়ে অনেক শিক্ষার্থী চাকরি না পাওয়ার হতাশায় ভুগছেন। এদিকে কোটা চাকরিতে বহাল রেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। কোটা থাকার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছেন।

অথচ কোটাধারী শিক্ষার্থীরা সুবিধা পাচ্ছেন। তাই তাঁরা বিদ্যমান কোটাব্যবস্থার সংস্কার চান। চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য বিষফোড়ার মতো।
দেড় ঘণ্টা মহাসড়কে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা আবার ক্যাম্পাসে চলে যান। বিক্ষোভের সময় পুলিশ সদস্যরা উপস্থিতি দেখা গেছে।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বলেন, ‌শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক প্রায় ১ ঘণ্টার মতো অবস্থান করে। পরে আমরা বোঝালে মহাসড়ক থেকে সরে যান এবং মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *