অনিয়মই নিয়মে পরিনত কাবিটা প্রকল্পে যমুনা বামতীরে বাঁধ কাম রাস্তার কাজ চলছে ভেকু ও ড্রেজারে বালু উত্তোলন করে!
ওসমান হারুনী,জামালপুর প্রতিনিধি : অনিয়মই নিয়মে পরিনত হয়েছে জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলা সরকারি বরাদ্দের টিআর,কাবিখা ও কাবিটা সহ বিভিন্ন গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের।
কাবিটা প্রকল্পে চিনাডুলী ইউনিয়নের যমুনা বামতীরে বাঁধ কাম রাস্তার কাজ চলছে মাটি- শ্রমিকের বদলে ভেকু মেশিন ও যমুনা নদীতে প্রকল্পের পাশেই অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে। বিষয়টি যেন দেখারও কেউ নেই।
জানা গেছে, ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের যমুনার বামতীরে বিদ্যুতের দোকান থেকে জামালের বাড়ী হয়ে ফুলু মাস্টারের বাড়ী পর্যন্ত চলতি অর্থ বছরের কাবিটা বিশেষ ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দে
বাঁধ কাম রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। কিন্তু কাজ চলছে মাটি- শ্রমিকের বদলে ভেকু মেশিন ও যমুনা নদীতে প্রকল্পের পাশেই অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে। ফলে প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ভেস্তে গেছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রমত্তা যমুনার বামতীরে বাঁধ কাম রাস্তা তৈরি কাজে মাটি ব্যাবহার না করে বাঁধ কাম রাস্তার কাজে পানিউন্নয়ন বোর্ডের যমুনা বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের নিচে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন করে বাঁধের উপর বালির পিরামিড তৈরি করে বাঁধ কাম রাস্তা কাজ চলছে। মানা হচ্ছে না গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচীর বাস্তবায়ন নির্দেশিকা। ফলে দায়সারা তড়িঘড়ি করে কাজ করায় একদিকে প্রকল্পটির নিম্নমানের কাজ অন্যদিকে হুমকির মূখে পড়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সারে চারশত কোটি টাকার তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের বাঁধটি। প্রকল্পের কাজে বর্ণনাসহ যথাযথ সাইজের সাইনবোর্ড দৃশ্যমান স্হাপন করা কথা থাকলেও নেই কোন সাইনবোর্ড।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত ২০২১-২২অর্থ বছরে একই ভাবে একই প্রকল্পের কাজে বালু উত্তেলন করে ২কোটি টাকা গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কাবিটা বিশেষ কর্মসূচীর আওতায় সরকারি বরাদ্দের চিনাডুলী পশ্চিম বাবনা মামুন ডাক্তারের বাড়ি হয়ে উলিয়া বাজার পর্যন্ত রাস্তা কাম বাঁধ নির্মাণ(প্রথম অংশ ও অবশিষ্ট অংশ),চিনাডুলী ইউনিয়ন এর কাজ করা হয়। কিন্তু বন্যায় যমুনার পানি চাপে সেই বালি বাঁধের সিংহভাগ অংশ ধ্বসে যায়।
বর্তমানে আবারও সেই ভাংগা অংশসহ একটু বাড়িয়ে চলতি অর্থ বছরে তড়িঘড়ি করে সরকারি বিশেষ বরাদ্দ এনে বালু দিয়ে দায়সারা কাজ করে প্রকল্পের টাকা লোটপাটের মহোৎসব চলছে। মানা হচ্ছে না কাবিটা প্রকল্পের নীতি মালা। সচেতন এলাবাসীর দাবী, কাবিটা প্রকল্পের নীতিমালা অনুযায়ী বাঁধ কাম রাস্তাটি নির্মাণ হলে এলাকাবাসীর হাজার হাজার বিঘা ফসলী জমি ও যমুনা বামতীরের মানুষ অকাল বন্যার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে।
প্রকল্প সভাপতি স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম কাবিটা প্রকল্পের কাজে ভেকু ও ড্রেজার কেন কাজ করছেন এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি সঠিক কোন জবাব দিতে পারেননি।
এব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান, প্রকল্পের নিয়মানুযায়ী কাজ না করলে বিল দেওয়া হবে না।