দেশ রুপান্তর পত্রিকার সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা’কে বেকুসুর খালাস।

মোঃ আরিফুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার: শেরপুরের নকলায় উপজেলা ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) প্রকল্প ও জায়কা প্রকল্পের টাকা হরিলুটের বিষয়ে তথ্য অধিকার ফরমে আবেদন করার দায়ে দেশ রূপান্তর পত্রিকার সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা কে নকলা উপজেলার নির্বাহি কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি শিহাবুল আরিফ এর মাধ্যমে ৫/৩/২৪ তারিখে ১৮৮,৫০৯ ধারায় গ্রেফতার করে তাৎক্ষণিক ৭ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শফিউজ্জামান রানার এই ঘটনা সারা বাংলাদেশের গন মাধ্যমে নিন্দার ঝড় ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
১০/০৩/২৪ ইং তারিখে তথ্য কমিশন হতে এ ঘটনা তদন্তের জন্য তথ্য কমিশনার ও সাবেক বিচারপতি শহিদুল আলম ঝিনুক এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম প্রথমে জেল হাজতে থাকা রানার সাথে, পরে রানার পরিবারের সাথে এবং পরে নকলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন এর অফিস কক্ষে প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপি বিভিন্ন জনের সাথে আলোচনা করে তদন্ত সম্পন্ন করেন।
পরবর্তীতে তথ্য কমিশনার নকলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিনকে তথ্য কমিশনে সশরীরে হাজির হয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য তলব করেন এবং ২ এপ্রিল সাদিয়া উম্মুল বানিন কমিশনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করেন। ত্রুটিপূর্ণ ব্যাখ্যা প্রদানে জন্য সাদিয়া উম্মুল বানিনকে দোষী সাব্যস্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালকে সুপারিশ করেন তথ্য কমিশন।

এদিকে ৭ দিন কারাভোগের পর আপিল আবেদনের প্রেক্ষিতে ১২ মার্চ ২৪ তারিখে যামিনে মুক্তি পান শফিউজ্জামান রানা। এর পর তারিখের পর তারিখ আদালতে দৌড়াদৌড়ির পর অদ্য ২৪ জুন সোমবার বেলা ১২.৫০ মিনিটের দিকে রায় ঘোষনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেবুন নাহার।
রায়ে জেবুন নাহার বলেন, ভোগকৃত সাজাই চুড়ান্ত! ১৮৮ ধারায় সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল তা থেকে বেকুসুর খালাস দেওয়া হলো এবং ৫০৯ ধারা মোতাবেক যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, সেই ধারায় যতদিন সাজা ভোগ করা হয়েছে তা থেকে অব্যাহুতি দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করা হইলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *