ইসলামপুরে ঈদের দিন কৃষক লীগ নেতাকে হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

ওসমান হারুনী.জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কোরবানি ঈদের দিন কৃষক লীগ নেতা আসাদ উল্লাহ ওরফে নিদু কাজীকে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করার বিচার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের কাজীবাড়ী বাজারে স্থানীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনের পর কাজী বাজার-সাহেব বাজার সড়কের বিক্ষোভ মিছিল করেন আয়োজকরা। এতে হাজার হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার দাবি করে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, নিহত নিদু কাজীর বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা জামাল উদ্দিন কাজী, নিহতের প্রথম স্ত্রী ফেলানি বেগম, দ্বিতীয় স্ত্রী নুরহাজান বেগম, ছেলে ছামিউল এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদ কাজী।

উল্লেখ্য, গত সোমবার কোরবানি ঈদের দিন বিকেল ৩টার দিকে ইউনিয়নের তারতাপাড়া গ্রামের জায়েদা মোড় এলাকায় ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক লীগের সহসভাপতি নিদু কাজীকে গুরুতর জখম করে ইউনিয়ন তাঁতী লীগের আহ্বায়ক কবির হাসান চায়নাসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিদু কাজীকে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় ওই রাতে ২০ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে ইসলামপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন হত্যাকাণ্ডের শিকার নিদু কাজীর বড় ভাই এবং আওয়ামী সিনিয়র সহ-সভাপতি জামাল উদ্দিন কাজী। ভোর রাতে র‌্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দলের সদস্যরা জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার নলকা এলাকা থেকে কবির হাসান চায়না এবং তার ছোট ভাই জিয়াউল মন্ডল জিয়াকে আটক করে। এর আগে গভীর রাতে ইসলামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন তালুকদারের নেতৃত্বে রাতে অভিযান চালিয়ে চায়নার ভাতিজা মোখলেসকে আটক করা হয়। আটককৃতদের

পরদিন মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামপুর থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আগে থেকে হত্যাকাণ্ডের শিকার কৃষক লীগ নেতা নিদু কাজীর সঙ্গে তাঁতী লীগ নেতা কবির হাসান চায়নার মধ্যে পারিবারিক ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *