ঘটনাস্থলে সোয়াট: পুলিশের গুলিতে আরেক পুলিশ নিহত, নানা প্রশ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীর গুলশান থানার বারিধারার কূটনীতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে গুলিতে মনিরুল ইসলাম নামের এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালক। এ ঘটনায় কাউসার নামের আরেক পুলিশ কনস্টেবলকে হেফাজতে নিয়েছে গুলশান থানা পুলিশ।
শনিবার (৮ জুন) দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিন দূতাবাসের নিরাপত্তাকর্মীদের কক্ষের সামনে এ ঘটনা ঘটে। কনস্টেবল মনিরুল ও কাউসার দুজনই ‘ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি জোনে’ কর্মরত ছিলেন।
গুলিবিদ্ধ গাড়িচালকের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। এ ঘটনা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম বলেন বলেন, রাত ১২টা ৫ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, পুলিশ কনস্টেবল কাউসারের এলোপাতাড়ি গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল নিহত হন। এ সময় জাপান দূতাবাসের একজন গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন শাহরুখ গুলিবিদ্ধ হন। তাকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কনস্টেবল কাউসারকে নিরস্ত্র করে গুলশান থানায় নেওয়া হয়েছে।
তবে এ ঘটনার কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, প্রাথমিকভাবে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ওই পুলিশ সদস্য এ ঘটনা ঘটায়। এদিকে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্যকে নিরস্ত্র করে ও নিরাপত্তা জোরদারে বিশেষ ইউনিট সোয়াত টিম ঘটনাস্থলে কাজ করছে। রাত সোয়া ২টার দিকে এ তথ্য জানিয়ে গুলশান থানার ওসি বলেন, অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্যকে নিরস্ত্র করে ও নিরাপত্তা জোরদারে বিশেষ ইউনিট সোয়াত টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ করছে।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভবত মানসিক সমস্যার কারণে আমাদের এক কনস্টেবল আরেক কনস্টেবলকে গুলি করেছে। এ ঘটনায় পথচারী আহত হয়েছে বলে শুনেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গুলি নিক্ষেপকারী পুলিশ সদস্য মানসিক বিকারগ্রস্ত। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।