খুলনা – মোংলা রেলপথ চালু উদ্বোধন করেন হাবিবুন নাহার, এম পি, মোংলা রামপাল

এমরান হোসেন বাবুল মোংলা খুলনা : সোয়া চার হাজার কোটি টাকা প্রকল্প বরাদ্দ
একটি কমিউটার ট্রেন।
🇧🇩 মোংলা বন্দর কেন্দ্রিক অর্থ নৈতিক উন্নয়নের
সম্ভাবনার দার খুল্ল।
০১.জুন. ২০২৪.রোজ শনিবার, মোংলা – খুলনা – বেনাপোল, রেলপথ টি শুভ উদ্বোধন করেন।
বাগেরহাট, ৩,মোংলা রামপাল আসনের সাংসদ
বেগম হাবিবুন নাহার এম পি তিনি তার বক্তৃতায়
বলেন, এই রেলপথ আওয়ামী লীগ ও জন নেত্রী
শেখ হাসিনার উপহার।
দির্গ প্রতিকক্ষতি আসার অবসান ঘটিয়ে শুরু হলো
মোংলা খুলনা যশোর ও বেনাপোল পর্যন্ত নতুন
রেলপথ সংযোগ তিনি আরও বলেন দক্ষিণান্চলের
অর্থ নীতি আরও সুগম হবে উদ্বোধনের সাত মাস পরে
খুলনা – মোংলা রেলপথ চালু হলো
বহু কাঙ্খিত, ৯১. কিলোমিটার রেলপথ যাত্রী বাহী ট্রেন টি, সকাল, ১১.টায় বেতনা এক্স প্রেস ট্রেন টি খুলনা ফুল তলা হয়ে মোংলার উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করেন
এই ট্রেন চলাচলের মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠার, ৭৩ বছর পরে রেলযোগাযোগে যুক্ত হলো দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলা।
২০২৩. সালে, ০১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি এই রেলপথ উদ্বোধন করেন। এর আগে ৩০.অক্টোবর ফুল তলা থেকে মোংলা পর্যন্ত পরীক্ষা মুলক ভাবে ট্রেন টি চালানো হয়। স্হায়ী জনবল নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও প্রস্তুতি সম্পন্ন করে যাত্রী নিয়ে ট্রেন টি চালু করা হলো। এ বিষয় খুলনা থেকে মোংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসেন মাসুম সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এ রেলপথ বেতনা এক্স প্রেস ট্রেন দিয়ে যাত্রা শুরু হলো ০১.জুন, ২০২৪.থেকে, সকাল, ১১.টা থেকে, সোয়া, ১১.টার মধ্যে, বেতনা এক্স প্রেস ফুল তলা দিয়ে মোংলার উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করে এর মধ্যে দিয়ে এই রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু বা উম্মুক্ত হলো।
জানা গেছে খুলনা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত চলাচল করেন বেতনা এক্স প্রেস নামে একটি লোকাল ট্রেন। সেই ট্রেন টি বেনাপোল থেকে ফেরার পথে খুলনার ফুল তলা জংশন থেকে মোংলার দিকে যাত্রা করবেন। তখন ফুল তলা থেকে মোংলা পর্যন্ত ট্রেন টি
মোংলা কমিউটার৷ নাম ধারণ করে চলবে।
নতুন এই রেলপথে মোংলা কমিউটার নামে একটি ট্রেনই আপাতত চলাচল করবে। এই রেলপথে এই ট্রেন টির সাপ্তাহিক ছুটির বন্ধ থাকবে প্রতি মঙ্গলবার।
যাতায়াত সময় সুচি নিয়ে জানান, এই ট্রেন টি।
খুলনা থেকে ভোর সোয়া ৬.টায় ছেড়ে বেনাপোল পৌছাবে, সকাল সারে, ৮.টায় এ-র পরে 🇧🇩
🇧🇩 বেনাপোল থেকে ছেড়ে ফুল তলা হয়ে মোংলা পৌছাবে দুপুর, ১২.টা ৩৫.মিনিটে। ফুল তলা থেকে জাওয়ার পথে মোংলা কমিউটার, মোহাম্মদ নগর, কাটা খালি, চুল কাটি বাজার রেলস্টেশনে যাত্রা বিরতি দিবে।
মোংলা থেকে ছেড়ে জাবেন দুপুর, ০১.টায়।
বেনাপোল পৌছাবপন বিকেল, সাড়ে, ৪ টায়।
মোংলা টু খুলনা রেলপথ এ-ই প্রকল্প টি নেয়া হয়েছে
২০১০.সালে একই সালে জাতীয় অর্থ নৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি বা একনেকের অনুমোদনের পর, ২০১৬.সালে, এই প্রকল্পের কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয় এরই মধ্যে খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত ৯১.:কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে
এছাড়া রুপসা নদীর ওপর দিয়ে নির্মিত হয়েছে, ৫.১৩,কিলোমিটার দীর্ঘির রেলওয়ে সেতু শেয হয়েছে
১০৭.টি ছোট ব্রিজ, এবং ০৯.টি আন্ডারপাস নির্মান। হয়েছে। এবং, ১১.টি স্টেশন নির্মাণের কাজ ও শেষ হয়েছে। এরপর গত, ২০২৩,সালের ০১.নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ-ই রেলপথ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পরবর্তীতে রেলওয়ে কতৃপক্ষ গত, ০১.জানুয়ারি থেকে নতুন এই রেলপথে যাত্রী বাহী রেল চলাচল শুরু হওয়ার ঘোষণা দেন। এই বিষয় প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসাইন মাসুম জানান
কিছু কাজ বাকি থাকায় নির্ধারিত সময় গত ০১.জানুয়ারি থেকে এই রেলপথে রেল চলাচল করতে পারেনি কিছু কারণে দেরি হলে ও, ০১.জানুয়ারি, থেকে
নিয়মিত চালু হলো।
🇧🇩প্রকল্প অফিস সুত্রে জানা যায় মোংলা- খুলনা রেলপথে, ফুল তলা থেকে মোংলা পর্যন্ত, ৬৪,কিলোমিটার পথ হলেও স্টেশন গুলোর জন্য। ডাবল লাইনের হিসাব করে এই প্রকল্প। ৯১.কিলোমিটার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
ভারতের দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, লার্সেন এন্ড টুররো
এবং ইরকন ইন্টার ন্যাশনাল।
ভারতের ঋন সহায়তায় এই প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে।
৪. চার হাজার ২৬০.কোটি টাকা এই রেলপথে রুপসা নদীর উপর দিয়ে ৫.দশমিক ১৩.কিলোমিটার দীর্ঘ রেলসেতু নির্মাণ কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে।
০৯.টি স্থানে আন্ডার পাস ( রেললাইনের নিচ দিয়ে জাওয়ার রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। আন্ডার পাসের কারণে চালু ট্রেন গুলোকে ক্রসিংয়ে আর থামাতে হবে না। এই কারণে দুর ঘটনার ঝুঁকি ও থাকবে না।
এই রেলপথে আছেন, আট টি স্টেশন। স্টেশন গুলোর
নাম (০১) ফুল তলা (০২) আড়ংঘাটা (০৩) মোহাম্মদ নগর (০৪) কাটা খালি (০৫) চুল কাটি বাজা (০৬) ভাঘা ও(০৭) দিগরাজ (০৮) মোংলা
এ বিষয় রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এটা আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন মোংলা বন্দর কে রাজধানীর সঙ্গে যুক্ত করা। নানা জটিলতায় নির্ধারিতসময়ে প্রকল্প শেষ করা যায়নি বিধায় উদ্বোধন করা বা ট্রেন চালানো যায়নি
তবে না গেলে ও এবার এ পথটি আমরা ০১.জুন থেকে
চলাচলের জন্য ওপেন করে দিলাম।
উল্লেখ্য দেশের বৃহত্তম দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলা প্রতিষ্ঠিত হয়, ১৯৫০.সালের, ০১. ডিসেম্বরে।
খুলনা বিভাগের বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় অবস্থিত তবে খুলনা শহর থেকে মোংলা ৪৮.কিলোমিটার দক্ষিণে। মোংলা পশুর নদী ও মোংলা নদীর সংযোগ স্থলে মোংলা বন্দরের অবস্থান।
মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের উপ সচিব মো. মাকরুজ্জামান বলেন মোংলা – খুলনা ও বেনাপোল বন্দর পর্যন্ত নতুন রেলপথ চালু হওয়াতে মোংলা বন্দরের সাথে সব ব্যবসায়ীরা, কম সময়ে কম খরচে
মালামাল আনা নেওয়া করতে পারবেন, এবং এই অঞ্চলের মানুষের আশা পুরোন হলো আমাদের ও আসা পুরোন হলো এবং মোংলা বন্দরের সঙ্গে
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারী সবাই খুশি ।
এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *