জাহাঙ্গীরেই আস্থা বেলালে বাড়ছে বিতর্ক
রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অনেকের নাম শোনা গেলেও আগামি দিনেও গোদাগাড়ীর মানুষ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের উপরই আস্থা ও ভরসা রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এদিকে স্থানীয় সাংসদ জাহাঙ্গীর আলমকে সমর্থন করায় দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ আবারো তাকেই তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনে একট্টা হয়েছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা জাহাঙ্গীর আলমের বিজয় নিশ্চিত করতে তৃণমুলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের একট্টা হয়ে ভোটের মাঠে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা বলছে, এবার নির্বাচনে লড়াই হবে উচ্চ শিক্ষিত, আদর্শিক পরীক্ষিত ও অল্প শিক্ষিত, নবীন বির্তকিত নেতৃত্বের মধ্যে। পরীক্ষিতদের নেতৃত্বে রয়েছেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর, আর বির্তকিতদের নেতৃত্বে রয়েছে বেলাল উদ্দিন সোহেল। যেখানে সাধারণ মানুষের কাছে এখানো পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আর চরম ইমেজ সঙ্কটে পড়েছে বেলাল। তাদের অবস্থানও পরস্পরবিরোধী যেখানে উচ্চ শিক্ষিত, বিত্তশীল ও সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার থেকে উঠে আশা নেতৃত্ব জাহাঙ্গীর, সেখানে রাজনীতিতে বেলালের উঠা আশাটাই বিতর্কের মধ্যদিয়ে। আবার উপজেলা চেয়ারম্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নেতৃত্ব দিতে একজন নেতার উচ্চ শিক্ষার বিকল্প নাই। বেলালের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও সাধারণের মাঝে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে।
এছাড়াও মাদক কানেকশান ও রাতারাতি তার টাকার কুমির হওয়া নিয়েও বেলালকে নিয়ে সাধারণের মাঝে রয়েছে নেতিবাচক গুঞ্জন। এসব বিবেচনায় তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার মতো জায়গায় এখানো পৌচ্ছাতেই পারেননি। যদিও কালো টাকার জোরে কিছুটা মোহ সৃস্টি করেছে তবে ভোটারদের মাঝে তার কোনো প্রভাব পড়েনি বলে মনে করছে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা।এদিকে বেলাল উদ্দিন সোহেল ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণে অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনের গুঞ্জন উঠেছে। স্থানীয়রা বলছে, তার আয়ের সঙ্গে অর্জিক সম্পদের অসামঞ্জস্যতা রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের নাম ভাঙিয়ে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেলাল সম্পদ অর্জন করেছেন বলেও সাধারণের মাঝে আলোচনা রয়েছে। স্থানীয়রা বলছে, বেলাল উদ্দিন সোহেলের অর্জিত
সম্পদের অনুসন্ধান করা হলে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। প্রায় কুড়ি বছর পুর্বে বেলালের কি পরিমান সম্পদ ছিলো, এখন কি পরিমাণ সম্পদ রয়েছে, এসব সম্পদ কোন পথে অর্জিত হয়েছে তা নিয়ে সাধারনের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এবিষয়ে তারা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদুক) অনুসন্ধান দাবি করেছেন।
এছাড়াও গত দেওপাড়া ইউপি নির্বাচনে এমপি ফারুক চৌধুরী কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বেলালকে প্রার্থী ও বিজয়ী করেছিলেন।কিন্ত্ত ইউপি চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ না করেই উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবার ঘোষণা দিয়ে মাঠে রয়েছেন। যেখানে এমপি এই নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলমকে সমর্থন করেছেন, সেখানে এমপির সমর্থিত প্রার্থীর বিপক্ষে বেলালের প্রার্থী হওয়া মানেই, তিনি এমপিকে অবজ্ঞা করেছেন। তাদের ভাষ্য বেলালের সামনে আরো অনেক পথ রয়েছে, হুট করেই তিনি যদি উপজেলা চেয়ারম্যান হন, তাহলে আগামিতে তিনি যে এমপির টিকেট চাইবেন না তার নিশ্চয়তা কি ?
এই বিষয়টি তৃণমুলের নেতাকর্মীরা সহজভাবে মেনে নিতে পারছে না বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, গোদাগাড়ী উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যান জননন্দিত নেতা ও সবার প্রিয় মুখ জাহাঙ্গীর আলম। প্রথমবার জনপ্রতিনিধিহয়েই স্থানীয় সাংসদের সার্বিক সহযোগিতায় তিনি উপজেলার অবহেলিত এলাকা ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে এসব মানুষ জাহাঙ্গীরকে তাদেরই একজন মনে করে আসছেন।
আসন্ন নির্বাচনেও তারা ফের জাহাঙ্গীর আলমকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন বলে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। করোনায় তিনি প্রতিটি সুবিধা বঞ্চিত নাগরিকের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌচ্ছে দেয়া থেকে শুরু করে এখানো উপজেলবাসীর পাশে থেকে তাদের সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন।
সরেজমিন রাজাবাড়ী হাট, দেওপাড়া কদমশহর ও বেলবুনিয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা জানা গেছে, ভোটারদের কাছে দেয়া বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নসহ সামাজিক ছোট-বড় সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছেন উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।এছাড়াও অপরাধ ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে এমপির পক্ষ৷ থেকে তরুণদের মাঝে খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ, বৃক্ষরোপণ, মাদকবিরোধী প্রচারণা ও মাদক নির্মুলে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে বিভিন্ন কর্মসুচি গ্রহণ করে সকলের দৃস্টি কেড়েছেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত এসব বিবেচনায় উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জাহাঙ্গীর আলমের বিজয়ের উজ্জ্বল সম্ভবনা রয়েছে।