রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতার আহ্বান আইনমন্ত্রীর
ডেস্ক রিপোর্ট: রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে জনসাধারণের প্রতি বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এসংক্রান্ত একটি প্রচারপত্র আনিসুল হকের সংসদীয় এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া)-এর আখাউড়া উপজেলায় রবিবার (৩ মার্চ) থেকে বিতরণ শুরু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে একটা বিভ্রান্তি ছড়ায়। এ ছাড়া অনেকে একসঙ্গে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিস কিনে জিনিসের দাম বাড়াতে নিজের অজান্তেই সহযোগিতা করে। এসব থেকে উত্তরণে আইনমন্ত্রী সাধারণ মানুষের প্রতি বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন। বিষয়টি মাইকিং আকারেও প্রচার করা হবে। আপাতত প্রচারপত্র বিলি করা হচ্ছে।’
প্রচারপত্র বিলির সময় মো. তাকজিল খলিফা কাজল ছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন বাবুল, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. বাবুল মিয়া, মো. বাহার মিয়া, শিপন হায়দার, শফিকুল ইসলাম স্বপন, মো. সিরাজুল ইসলাম, সাবেক ইউপি মেম্বার আব্দুল হান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পৌর এলাকার সড়ক বাজারে বিলির মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
‘রমজানের বিশেষ আবেদন’ শিরোনামে আইনমন্ত্রীর প্রচারপত্রে লেখা আছে, ‘রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর পর্যাপ্ত সরবরাহ ও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর যাতে কোনো ধরনের ঘাটতি বা সংকট না দেখা দেয়, এ জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্যসামগ্রী দেশ-বিদেশ থেকে সংগ্রহ করে যথাসময়ে আপনাদের হাতের নাগালে সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
মন্ত্রী লিখেছেন, ‘রোজা শুরুর পূর্বমুহূর্তে আমাদের মধ্যে অনেকেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি কিংবা ঘাটতির আশঙ্কা করে, প্রয়োজনে অতিরিক্ত, প্রচুর পরিমাণ নিত্যপণ্য একসাথে ক্রয় করার প্রবণতা লক্ষ করা যায়।
এই সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম ঘাটতি ও সংকটের গুজব ছড়িয়ে অযৌক্তিভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে দেয়। ফলে সাধারণ জনগণকে অনেক সময় কষ্ট ভোগ করতে হয়।’
প্রচারপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ‘রমজান মাস আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাস। শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকাই রমজানের শিক্ষা নয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শন করাই রমজানের আদর্শ।
আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্য আমরা যার যার অবস্থান থেকে প্রকৃত সংযম প্রদর্শন করে আত্মশুদ্ধি লাভে ব্রত হই।’