মির্জাপুরে ট্রাক চালক হত্যার ঘটনায় ৬ জন গ্রেপ্তার
টাংগাইল জেলা প্রতিনিধি রাহিদ রানা : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ট্রাক চালক নাজমুল ইসলাম ওরফে আজিজুল ইসলাম (৩৫) খুনের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে সাদ্দাম হোসেন (৩৪) ও নাদিম খান (৩১) নামে দুজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে মির্জাপুর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এই তথ্য জানান অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলা সদরের বাইমহাটি মাস্টারপাড়ার আবু সাঈদ খানের ছেলে নাদিম (৩১), লতিফপুর ইউনিয়নের ত্রিমোহন বান্দরমারা গ্রামের পাষান খানের ছেলে সদ্দাম (৩৪), বাইমহাটী গ্রামের মৃত সামাদ আলীর ছেলে মো. ইয়াসিন (২৩), বাগজান গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে লাভলু মিয়া (৩১), বাইমহাটী গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে ফজল মিয়া (৩৯) সিংজুরী গ্রামের বোরহান মিয়ার ছেলে মো. সোহেল (৩২)।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত শুক্রবার বিকেলে ট্রাকচালক আজিজুল ও তার শ্যালক ট্রাকের হেলপার আবু তালেব নারায়ণগঞ্জ থেকে ট্রাক ভর্তি ভুট্টা নিয়ে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে রাত ১টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস এলাকার মা সিএনজি স্টেশনের কাছে পৌঁছালে মহাসড়কে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় ট্রাক থামিয়ে চালকের সহকারী পড়ে থাকা বস্তা সরাতে গেলে ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্রধারী এসে তাকে ঘিরে ফেলেন। অস্ত্রধারীরা তার সঙ্গে থাকা ১৮ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং মারপিট করেন। এসময় দৌড়ে সহায়তা পেতে চিৎকার করতে থাকেন। এদিকে অস্ত্রধারীরা ট্রাকে উঠে চালকের বুকে ছুরিকাঘাত করে। হেলপারের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ও পুলিশের টহল দল এগিয়ে গেলে অস্ত্রধারী ডাকাতদল পালিয়ে যায়। পরে আহত চালককে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় মির্জাপুর থানায় শনিবার সকালে ট্রাকের হেলপার আবু তালেব মামলা করে। মামলা নথিভূক্ত হওয়ার তিন ঘন্টার মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যে রবি ও সোমবার পোষ্টকামুরী, বাইমহাটী, দেওহাটা ও মির্জাপুর বাজার এলাকা থেকে বাকি চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত সাদ্দাম ও নাদিম রবিার (১৮ ফেব্রয়ারী) আদালতে ট্রাকচালককে খুনের কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছে। গ্রেপ্তার অন্য চারজনকে সোমবার সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে টাঙ্গাইল কোর্টে প্রেরন করা হয়।
এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাতজনের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তর করা হয়েছে এবং অন্য একজনকেও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।