যশোর দক্ষিণ ভাটপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র তার অবহেলা ও গাফিলাতির কারণে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ঝরে পড়ছে। প্রধান শিক্ষক সকাল দশটায় নিজ বাড়ির উঠানে রৌদ্র পোহাচ্ছে। যদিও স্কুলে নয়টায় থাকার কথা।
বিশেষ প্রতিনিধি : যশোর জেলার সদর থানার দক্ষিণ ভাটপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র সরকার নিজ গ্রামের স্কুল সংলগ্ন বাড়িতেই সকাল দশটায় উঠানে চেয়ারে বসে রৌদ্রো পোহাচ্ছেন। যদিও তার স্কুলে যাওয়ার কথা সকাল নয়টায়। স্কুলের কার্যক্রম ফাঁকি দিয়ে নিজ বাড়ির আঙিনায় চেয়ারে বসে রৌদ্র পোহানোর সমসময়ে অত্র প্রত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধিদ্বয় সরজমিন পর্যবেক্ষনে উপস্থিত হয়। এক সৌজন্য স্বাক্ষতে প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র সরকার ব্যাক্ত করেন স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী কম তাদের আসতেও একটু দেরি হয়। সে কারণে আমিও একটু দেরি করে যাচ্ছি। আরো এক সৌজন্য স্বাক্ষাতে প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র সরকার ব্যাক্ত করেন। তার স্কুলে মোট ০৫ জন শিক্ষক/শিক্ষিকা শীতের দিনে সবাই একটু দেরি করে আসেন। অথ্যাৎ ১০টা মধ্যে সবাই উপস্থিত হবে। অত্র পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধিদ্বয় সকাল ০৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত স্কুলের পতাকাতলে অপেক্ষায় থাকে। কোন শিক্ষক/শিক্ষিকাকে না পেয়ে স্কুলের পাশে প্রায় দু’শত গজের মধ্যে প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র সরকারের বাড়িতে পৌছালে দেখা যায় উঠানের রৌদ্রে চেয়ারে বসে আছে। যাহা তাক্ষৎনিক বিশেষ প্রতিনিধিদ্বয় ক্যামেরায় ছবি ধারণ করে। পাশে উল্লেখিত ছবিটাতে স্পষ্টো প্রমান করে প্রমান শিক্ষকের অবহেলা ও গাফিলাতি। এলাকায় সচেতন ও বুদ্ধিজীবি মহল ব্যাক্ত করেন প্রধান শিক্ষক নারায়ন বাবুর অবহেলা ও গাফিলাতির কারণে অন্যান্য শিক্ষক/শিক্ষিকারাও যথা সময়ে স্কুলে আসে না। যে কারণে ছাত্র-ছাত্রী ঝরে পড়তে পড়তে বর্তমানে মাত্র ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী আছে ০৬ ক্লাস মিলে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র ব্যাক্ত করে, এই স্কুলের সকল শিক্ষক/শিক্ষিকাদের বাড়ি স্কুল এলাকায়। যে কারণে অবহেলা ও গাফিলাতির কারণে স্কুলটির যাবতীয় কার্যক্রম পিছিয়ে পড়ছে। সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কতৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে স্কুল রক্ষাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য অত্র প্রতিবেদন। (আগামীতে আরো বিস্তারিত জানার জন্য প্রত্রিকার পাতায় চোখ রাখুন।)