শেরপুরে বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তাকে মারধর করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটতরাজের অভিযোগ

জাহাঙ্গীর হোসেন, শেরপুর প্রতিনিধি : পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শেরপুরে একজন বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তাকে মারধর এবং তাঁর বাড়িঘরে হামলা করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটতরাজের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।

১৩ জানুয়ারি শনিবার রাতে শেরপুর পৌরসভার শিববাড়ি মহল্লায় ওই ঘটনা ঘটে।

মারধরের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ (৫১) নামে ওই বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা বর্তমানে শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আব্দুল হামিদ শেরপুরের নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের ভুরদী গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। তাঁর পিতার নাম জমশেদ আলী। তিনি জামালপুর জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে পরিবারপরিজন নিয়ে তিনি শেরপুর পৌরসভার শিববাড়ি মহল্লায় বাস করেন।

ওই ঘটনায় আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে ১৪ জানুয়ারি রবিবার ৯ জনকে নামীয় এবং ২০/২৫ জনকে সন্দিগ্ধ আসামী করে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।

স্থানীয় সূত্র ও বাদীর লিখিত এজাহারে জানা যায় বেশ কিছুদিন ধরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এলাকার কিছু বখাটে আব্দুল হামিদের বাসার নির্মাণ সামগ্রী ক্ষতি করে আসছিল। ১৩ জানুয়ারি শনিবার রাত ৮টার দিকে একই মহল্লার তিলক (২২), শ্রাবণ (২৩), শিশির (২৪), সিয়াম (২২),, তানভির (২৪), অর্পণ (২৫), শান্ত (২২), বালা ঠাকুর (২৫) এবং গৃর্দ্দানারায়ণপুর মহল্লার ছামিউল আলিমসহ (৩০) অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জন যুবক মিলে আব্দুল হামিদের বাসার নির্মাণ সামগ্রীতে আগুণ ধরিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। আব্দুল হামিদ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাঁরা আব্দুল হামিদকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে তাঁরা আব্দুল হামিদের বাড়িঘরে ঢুকে প্রায় ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং নগদ ৫ লাখ টাকাসহ ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। রাতেই স্থানীয়রা আব্দুল হামিদকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল্লাহ জানান আব্দুল হামিদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৯ জনকে নামীয় ও ২০/২৫ জনকে সন্দিগ্ধ আসামী করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান জানান অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান চলছে।

আব্দুল হামিদ জানান আমার বাসার আশপাশে মহল্লার কিছু বখাটে রাতেরবেলা নেশা করত। আমি বাঁধা দেওয়ায় আমার সাথে তাঁদের শত্রুতা সৃষ্টি হয়। মামলা করেছি। পুলিশ আমাদের কাছে আসামীদের লোকেশন চাচ্ছে। হয়ত খুব তাড়াতাড়ি পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *