শেরপুর নকলা সাইলাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকবর আলী স্ব-স্ত্রী একই স্কুলে অবহেলা ও গাফিলাতিতে চাকুরী করছে। সকাল ১১ টায়ও তাদের নিজ বাড়ির ছোপায় দেখা যায়। যাহাতে এলাকার সচেতন ও বুদ্ধিজীবি মহল অতিষ্ট।
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি : শেরপুর জেলার নকলা থানাধীন সাইলাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকবর আলী স্ব-স্ত্রী একই স্কুলে অবহেলা ও গাফিলাতিতে চাকুরী করছে। সকাল ১১ টায়ও তাদের নিজ বাড়ির ছোপায় দেখা যায়। যাহা তাৎক্ষনিক ক্যামেরায় ধারন করা হয়। এলাকার সচেতন ও বুদ্ধিজীবি মহল তাদের কর্ম কর্তব্যে অতিষ্ট। এলাকা বাসির সূত্রে একটি তথ্যের বরাতে গত ১০-১২-২৩ ইং তারিখে সকাল ১০ ঘটিকার সময় অত্র অপরাধ তথ্যচিত্র প্রত্রিকার ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিদ্বয় সরজমিনে ঢাকা থেকে স্কুলটিতে উপস্থিত হয়ে দেখতে পায়। কোন শিক্ষক-শিক্ষীকা স্কুলে পৌঁছায় নাই এবং জাতীয় পতাকাও উদয় হয় নাই। অল্প সময়ের মধ্যেই পিওনের উপস্থিতেই জানা যায় সকল শিক্ষক-শিক্ষীকারা ১১ টার মধ্যেই আসবে। ডিসেম্বর মাস ছাত্র-ছাত্রী নাই- সে কারণে শিক্ষক-শিক্ষীকারা দেরী করেই আসে। ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিদ্বয় একই গ্রামে প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে পৌঁছাইয়া সকাল ১১ টায় প্রধান শিক্ষক আকবার আলী সাহেব নিজ স্ত্রী সহকারী শিক্ষীকা সহ বাড়ির ছোপায় বসে থাকতে দেখতে পায়। যদিও এই শিক্ষক-শিক্ষীকাদের সকাল ০৯ টায় সরকারী বিধী-বিধানে স্কুলে থাকার কথা। এলাকার সচেতন মহাল ব্যাক্ত করে এই প্রধান শিক্ষক-শিক্ষীকা উভয়ে স্বামী-স্ত্রী এবং একই স্কুলে চাকুরী হওয়ার কারণে, কখনো কখনো প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী সহকারী শিক্ষীকা প্রধান শিক্ষক সেজে বসে থাকে। প্রক্ষ্যান্তরে যখন প্রধান শিক্ষক স্কুলে থাকে তখন প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী সহকারী শিক্ষীকা স্কুলেই যায় না। যদি কোন উদ্ধোতন কর্মকর্তা স্কুলে উপস্থিত হয়, তাৎক্ষণিক প্রধান শিক্ষক তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষীকাকে মোবাইল ফোনে অবগত করলে স্ত্রী সহকারী শিক্ষীকা দ্রুত স্কুলেই উপস্থিত হয় এবং সহকারী শিক্ষীকা ব্যাক্ত করে পাশেই ছিলাম, যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এলাকাবাসীর ভাস্য প্রধান শিক্ষক এবং তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষীকা একে অন্যের পরস্পর সমযোথায় চাকুরী করে থাকে অথ্যাৎ প্রধান শিক্ষক তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষীকার দায়িত্বটা সামাল দিয়ে রাখেন। যাহাতে এলাকাবাসী গভির মনোক্ষুন্নসহ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে, সরজমিন স্বাক্ষাতকারে প্রধান শিক্ষক ব্যাক্ত করেন। যেহেতু ডিসেম্বর মাস ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা শেষ, সেহেতু একটু বিলম্ব করেই যাই। প্রতিউত্তরে ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিদ্বয় ব্যাখ্যা দেন ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা শেষ তাহাতে শিক্ষক/শিক্ষীকাদের পরীক্ষা তো নয়। সুতরাং শিক্ষক/শিক্ষীকাদের যথা সময়ে কর্মস্থলে যাইতে হবে কিনা? তাছাড়া আপনারা স্বামী-স্ত্রী উভয়ে একই স্কুলের শিক্ষক/শিক্ষীকা তদুপরি প্রধান শিক্ষক যদি যথা সময়ে তার কর্মস্থলে না যায় তাহলে অন্যান্য শিক্ষক/শিক্ষীরা আরো অবহেলা ও গাফিলতিতে বিলম্ব করে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র ব্যাক্ত করে এই প্রধান শিক্ষক তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষীকাসহ একই স্কুলে দীর্ঘদিন যাবৎ অবহেলা ও গাফিলতিতে চাকুরী করার কারণে সকল ছাত্র-ছাত্রী পিছিয়ে পড়েছে এবং অবিভাবক মহল বিরক্তবোদ করছে। সংশ্লিষ্ট উদ্ধোতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনার জন্য তথ্যটি পরিবেশন করা হলো। (বিস্তারিত আকারে আগামীতে প্রত্রিকার পাতায় চোখ রাখুন)