চাঁদপুর বিষ্ণুপুরে যৌতুকের টাকার জন্য নারী নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ
স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলাধীন ১ নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে যৌতুকের টাকার জন্য নারী নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ সাজিয়া সুলতানা(৩৫)? বেদম মারধর ও শ্বাসরোদ্ধে হত্যার চেষ্টা অভিযোগ এর খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটে গত ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় কাজির বাজার সংলগ্ন দর্জি বাড়িতে।
আহতর পরিবারের সূত্রে জানাযায়, ১ নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়াডের হাজরা বাড়ির মরহুম জয়নাল আবদিন হাজরা ( প্রাক্তন মেম্বার) মেয়ে সাজিয়া সুলতানা (ববি) সাথে একই গ্রামের গোলাম মোস্তফা দর্জির সাথে বিয়ে হয়। এর পর থেকে বাবা বাড়িতে থাকতেন সাজিয়া সুলতানা।
পরে সাজিয়া কোল জুড়ে দুই ছেলে ছামি ও আব্দুল্লাহ আসে। তাদের জন্ম নানার বাড়িতে। তার পরেও গোলাম মোস্তফা সাজিয়া সুলতানা কে বাড়িতে নেয়নি। শুধু বলতো আমি পুলিশে চাকরী করি আমার থাকার যায়গা নাই। শুধু তাই নয় সংসার খরচের জন্য ঠিক মত টাকা দেয়নি। পরে সাজিয়া বলে আমাকে তোমার কাছে নিয়ে যাও তা শুনে গোলাম মোস্তাফা ফ্লাট কিনবে বলে ৬ লাখ টাকা চায় মেয়ে মা ফিরোজা বেগম কাছ তেকে পরে মেয়ের মা গোলাম মোস্তফা ৬ লাখ টাকা দেন মেয়ের সুখের জন্য, কিন্তু সেই ফ্ল্যাট আজ অব্দি কেনা হয়নি।
এরপরি ঢাকায় আলাদা বাসা নেয়। এর পর থেকে বেরিয়ে আসে আসল গোলাম মোস্তফার আসল রূপ চলাচলের জন্য কিনে দিতে হবে পালসার মোটরসাইকেল। এর পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে নতুন কোশল চাপ দিতে থাকে তাকে মন্ত্রী বা বড় অফিসার দিয়ে প্রমোশন করিয়ে দিতে না হয় ১০ লাখ টাকা দিতে হবে।
যে ভাবে হউক প্রমোশন হয়ে এস আই হলে,প্রোমোশনের পর কয়েকমাস যাবত শুরু করেছে তাকে ডাকায় বদলি করে আনতে আর না হয় ২০ লাখ টাকা দিতে। এইগুলো নিয়ে প্রায়ই তাকে মারদর করতো। এই ঘটনার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাতে মৃত মন্নান দর্জি (মনু) ছেলে গোলাম মোস্তফা দর্জির বসত ঘরে দরজা বন্ধ করে গোলাম মোস্তফা দর্জি স্ত্রী সাজিয়া সুলতানা (ববি) কে গায়ের বস্ত্র খুলে লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করে।
পরে হাতের গুঁশি দিয়ে চোখে আঘাত করে। এদিকে আহতর ডাক চিৎকারে পাশের লোকজন সাজিয়া সুলতানা ববি উদ্ধার করার জন্য ঘরের সামনে গেলে দরজা বন্ধ থাকায় সেখান থেকে উদ্ধার করতে পারেনি।পরে প্রতিবেশীরা মেয়ের ভাই আনোয়ার হাজরা কে ফোনে মাধ্যমে মারধরের বিষয়টি জানালে আনোয়ার হাজরা তাৎক্ষণিক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কে অবহিত করে, গ্রাম দফাদার এর মাধ্যমে উদ্ধার করে চাঁদপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। অপরদিকে আহত সাজিয়া সুলতানা অবস্থা আশঙ্কা জনক দেখে কর্তব্যরত কত বড় তো ডাক্তাররা ঢাকা মেডিকলেজে রেফার করেন।
বিষয়ে আহত বড় বোন রাজিয়া সুলতানা বলেন,আমার ছোট বোন জামাই গোলাম মোস্তফা দর্জির বসত ঘরে দরজা বন্ধ করে আমার ছোট বোন সাজিয়া সুলতানা (ববি) কে যৌতুকের টাকার জন্য প্রায় মারধর করতেন কিন্তু বৃহস্পতিবার এ রাতে নিজের বসত করে গায়ের বস্ত্র খুলে লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করে।পরে হাতের গুঁশি তে চোখে আঘাত করলে তার চোঁখ দুটো ফুলে চোঁখ আর খুলতে পারে না, বোনের ডাক চিৎকারে পাশের লোকজন উদ্ধার করার জন্য ঘরের সামনে গেলে দরজা বন্ধ থাকায় সেখান থেকে উদ্ধার করতে পারেনি।
এ বিষয়ে আহতর ভাই আনোয়ার হাজরা জানাই, আমার বোন জামাই গোলাম মোস্তফা দর্জির বসত ঘরে দরজা বন্ধ করে আমার বোন সাজিয়া সুলতানা (ববি) কে গায়ের বস্ত্র খুলে লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করে। পরে হাতের গুঁশি তে চোখে আঘাত করলে তার চোঁখ দুটো ফুলে চোঁখ আর খুলতে পারে না, বোনের ডাক চিৎকারে পাশের লোকজন উদ্ধার করার জন্য ঘরের সামনে গেলে দরজা বন্ধ থাকায় সেখান থেকে উদ্ধার করতে পারেনি।পরে প্রতিবেশীরা আমাকে ভাই কে ফোনে মাধ্যমে মারধরের বিষয়টি জানালে আনোয়ার হাজরা তাৎক্ষণিক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জানায় ও গ্রাম পুলিশের এর মাধ্যমে উদ্ধার করে।
আমার আমার একটি বিষয় ভাবতে খুব কষ্ট হয়। বাবা মরহুম জয়নাল আবদিন হজরা ৪ নং ওয়ার্ডে ( প্রাক্তন মেম্বার) ছিলেন, খুবই ভালো মনের মানুষ ছিলেন সব সময় সকলের আপদে বিপদে পাশে থাকতেন আমাদের পরিবারের কখনো এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। আমার বোন সাথে সাজিয়া সুলতানা (ববি) সাথে একই গ্রামের গোলাম মোস্তফা দর্জির সাথে বিয়ে দেই। এর পর থেকে আমাদের বাড়িতে রাখে।
পরে আমার বোনের কোল জুড়ে ভাগিনা ছামি, আব্দুল্লাহ আসে তাদের জন্ম আমাদের বাড়িতে। তার পরো বোন জামাই বাড়িতে নেন নি বোন সাজিয়া সুলতানা কে। শুধু বলতো আমি পুলিশে চাকরী করি আমার থাকার যায়গা নাই। শুধু তাই নয় সংসার খরচের জন্য ঠিক মত টাকা দেয়নি। অনেক কিছুর পর আমার মায়ের কাছ থেকে ফ্লাট কিনবে বলে ছয় লক্ষ টাকা নেয় বোন জামাই গোলাম মোস্তফা,কিন্তু আজ অব্দি সেই ফ্ল্যাট কেনা হয়নি। এদিকে ঢাকায় আলাদা বাসা নেয় এর পর থেকেই বেরিয়ে আসলো আসল রুপ, চলাচলের জন্য কিনে দিতে হবে পালসার মোটরসাইকেল,যৌতুকের টাকার জন্য আমার বোনকে অনেক মাদর করতো ।
এর পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে নতুন কোশল চাপ দিতে থাকে তাকে মন্ত্রী বা বড় অফিসার দিয়ে প্রমোশন করিয়ে দিতে না হয় ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। যে ভাবে হউক প্রমোশন হয়ে এস আই হলে,প্রোমোশনের পর কয়েকমাস যাবত শুরু করেছে তাকে ডাকায় বদলি করে আনতে আর না হয় ২০ লাখ টাকা দিতে। এইগুলো নিয়ে প্রায়ই তাকে মারদর করতো। এমন নির্যাতন ও শ্বাসরোদ্ধ হত্যার চেষ্টা করেছে, তা মানুষ হয়ে কিভাবে পারলো আমি বোন জামাই গোলাম মোস্তফার এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
এ বিষয়ে আহতর স্বামী গোলাম মোস্তফা দর্জি সাথে আলাপ করতে চাইলে তাকে পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।