আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি খুলনা, আওয়ামী লীগে একাধিক প্রার্থী, নীরবে কাজ করছে বিএনপি
ডেস্ক রিপোর্ট : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ছয়টি আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে যেন প্রার্থী জট সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি আসনেই ছয় থেকে আটজন প্রার্থী প্রচার চালাচ্ছেন। বর্তমান এমপিদের নানা নেতিবাচক দিক নিয়েও চলছে সমালোচনা। অন্যদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আন্দোলন করলেও বিএনপির একাধিক নেতা নীরবে ভোটের প্রচারে রয়েছেন। দলীয় হাইকমান্ডের ইঙ্গিত পেলে প্রকাশ্যেই তারা ভোটের মাঠে নামবেন। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। ইসলামী আন্দোলন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরাও মাঠে সরব রয়েছেন। এছাড়া ভোটের মাঠে ভিন্ন কৌশলে সরব হচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা। জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ৬টি আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে ৩৯ জন প্রার্থী আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন। অধিকাংশ আসনে তারাই এবার সরব হচ্ছেন। এর পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে নতুন মুখও। এছাড়াও বিএনপির ২২ জন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। এ দলেও বেশ কয়েকজন নতুন মুখ এবার যুক্ত হয়েছে ভোটের মাঠে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমরা ভাবছি না। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। সর্বোপরি দলের হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত দেবেন সবাই তাই মানবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী দল। এখানে আসনভিত্তিক একাধিক প্রার্থী থাকবে এটা স্বাভাবিক। এমপিসহ সব আগ্রহী প্রার্থীদের কার্যক্রম মনিটরিং করছেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষেই আগামী নির্বাচনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। (সরেজমিন তথ্যসহ প্রতিবেদন প্রস্তুতে সহায়তা করেছেন রিয়াছাত আলী-কয়রা ও শাওন হাওলাদার-বটিয়াঘাটা)
খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) : হিন্দু অধ্যুষিত এ এলাকা আওয়ামী লীগের রিজার্ভ আসন হিসাবে পরিচিত। ১৯৮৮ সালে এরশাদের নির্বাচন এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ছাড়া বাকি নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছে। এ আসনটিতে তাই প্রার্থীর সংখ্যাও বেশি। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে নির্বাচিত হন পঞ্চানন বিশ্বাস। ক্লিন ইমেজের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও বয়সের কাছে অনেকটা ধরাশায়ী এ নেতা। অনেকেই মনে করছেন আসনটিতে আওয়ামী লীগ এবার প্রার্থী পরিবর্তন করতে পারে। মনোনয়নের আশায় এ আসনে ৬ জন প্রার্থী মাঠে কাজ করছেন। নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস এমপি, সাবেক এমপি ননী গোপাল মন্ডল, সংরক্ষিত আসনের এমপি অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল, দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল হোসেন ও বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল আলম খান। তবে এই আসনে একক প্রার্থী আমীর এজাজ খানকে নিয়ে অনেকটা স্বস্তিতে আছে বিএনপি। ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৮ সালে পরাজিত হলেও অন্য কোনো আগ্রহী প্রার্থী নেই আসনটিতে। এর বাইরে আসনটিতে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। ২০১৮ সালেও তিনি নির্বাচন করেছিলেন। আর সিপিবির বটিয়াঘাটা উপজেলা সভাপতি অশোক কুমার সরকার এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সহসভাপতি মাওলানা আবু সাঈদ এবারও প্রার্থী হচ্ছেন।
খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) : খুলনা মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র এ আসনটি মূলত বিএনপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত। যদিও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এ আসনটিতে আওয়ামী লীগ তিনবার বিজয়ী হয়েছে। তবে বিগত দিনে এ আসনে বিএনপিরই প্রাধান্য ছিল। ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগ নেতা এমএ বারী এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপিবিহীন নির্বাচনে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান বিজয়ী হন। ২০১৮ সালে মিজানকে সরিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়। তিনি এ আসনের বর্তমান এমপি। বঙ্গবন্ধু পরিবারের এ সদস্যের বিপরীতে এ আসনে আওয়ামী লীগের আর কোনো প্রার্থী প্রচারে নেই। অপরদিকে এ আসনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী হিসাবে আছেন সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। ২০০৮ সালে বিএনপির ভরাডুবিতেও তিনি এ আসন থেকে বিজয়ী হন। অবশ্য এ হেভিওয়েট নেতা এখন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত। তবে শেষ পর্যন্ত তাকেই এ আসনে প্রার্থী করা হতে পারে বলে মনে করছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তিনি ছাড়াও মনোনয়ন চাইতে পারেন সাবেক এমপি আলী আজগর লবী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা। এছাড়াও জাতীয় পার্টির মহানগর নেতা অ্যাডভোকেট মহানন্দ সরকার ও অ্যাডভোকেট অচিন্ত কুমার দাস মনোনয়ন চাইতে পারেন।
খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহানআলী) : শ্রমিক অধ্যুষিত এ আসনে জয় পরাজয়ে ভূমিকা রাখে শ্রমিকরা। ২০০৮ সাল থেকে এ আসনের এমপি শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। বয়সের ভারে ন্যুব্জ এ নেত্রী আগের মতো সাধারণ মানুষকে সময় দিতে পারেন না। এছাড়াও তার নাম ব্যবহার করে কতিপয় নেতার লাগামহীন দুর্বৃত্তায়নে বিক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। গেল সিটি নির্বাচনে তার সংসদীয় এলাকার কয়েকটি কেন্দ্রে হেরে যান তালুকদার আব্দুল খালেক। এতে এলাকার সাধারণ মানুষ এবং মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে নানা সমালোচনা ও প্রশ্নের জন্ম দেয়। এসব কারণে স্থানীয় নেতাকর্মীদের ধারণা এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে। এ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন মনোনয়ন চাইবেন। এক সময় তিনি দাপটের সঙ্গে ছাত্র রাজনীতি করেছেন খুলনায়। সুবক্তা হিসাবেও তার খ্যাতি রয়েছে। এছাড়াও এ আসনে নৌকার মনোনয়ন চাইছেন বর্তমান সেনাপ্রধান এসএম শফিউদ্দিন আহমেদের আপন বোন সাবেক কাউন্সিলর অধ্যাপক রুনু ইকবাল বিথার। তিনি সাবেক যুবলীগ নেতা শহিদ ইকবাল বিথারের স্ত্রী ও জাতীয় মহিলা সংস্থা খুলনা শাখার চেয়ারম্যান। এছাড়া এ আসনে নৌকার প্রার্থী হতে চান ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এবং নগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ফারুক হোসেন হিটলু।
এদিকে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চায় বিএনপি। ২০০১ সালে আসনটিতে এমপি ছিলেন বিএনপির প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা আশরাফ হোসেন। দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মনে করেন আসনটি পুনরুদ্ধারে যোগ্য প্রার্থী হতে পারেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। এর বাইরে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি আব্দুল গফফার বিশ্বাস লাঙ্গলের প্রার্থী হতে পারেন। এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা শেখ হাসান ওবায়দুল করিমও প্রার্থী হচ্ছেন এ আসন থেকে।
খুলনা-৪ (রূপসা-দিঘলিয়া ও তেরখাদা) : এ এলাকায় বিএনপি-আওয়ামী লীগ উভয় দলের আধিপত্য রয়েছে। সংসদীয় এ আসনের বর্তমান এমপি আব্দুস সালাম মুর্শেদী। ব্যবসায়ী ও খেলোয়াড় হিসাবে পরিচিত এ নেতাকে নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত রয়েছে। সালাম মুর্শেদী ছাড়াও এ আসনটিতে নৌকার মনোনয়ন চাইছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিৎ অধিকারী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান জামাল, নগর যুবলীগ সভাপতি এসএম শফিকুর রহমান পলাশ, সাবেক এমপি মোস্তফা রশিদী সুজার ছেলে এসএম খালেদীন রশিদী সুকর্ণ। অন্যদিকে আসনটি পুনরুদ্ধারে মাঠে রয়েছেন বিএনপির হেভিওয়েট নেতা কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক পারভেজ মল্লিক। আসনটিতে প্রার্থী দেবে জামায়াতে ইসলামীও। দলটির প্রার্থী মাওলানা কবিরুল ইসলাম ইতোমধ্যে মাঠে কাজ করছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদও মাঠে রয়েছেন।
খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) : সিটি করপোরেশন লাগোয়া হওয়ায় এ আসন ঘিরে বড় দুই দলের চোখ থাকে সব সময়। ২০০৮ সাল থেকে আসনটিতে এমপি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। খুলনা-৫ আসনে সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সালাহউদ্দিন ইউসুফের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে ২০০১ সালে তিনি জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের কাছে পরাজিত হন। ২০০৮ সালে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও বিনা ভোটে এমপি হন তিনি। তখন তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি অভ্যন্তরীণ কোন্দল, গ্রুপিং, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক আচরণসহ বিভিন্ন কারণে ইমেজ সংকটে রয়েছেন এমপি। যদিও এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন এমপি নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। এ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রার্থী অন্যরা হলেন খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকরাম হোসেন, গুটুদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোস্তফা সরোয়ার, খুলনা জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহসভাপতি ড. এম মাহাবুব উল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আজগর বিশ্বাস তারা। ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি অধ্যাপক ডা. গাজী আবদুল হক ও বিএনপি নেতা মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল জব্বার মাঠে কাজ করছেন।
খুলনা ৬ (কয়রা-পাইকগাছা) : সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা এ এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিত্যসঙ্গী। মজবুত ও টেকসই বেড়িবাঁধের আশ্বাস থাকলেও গত দুই দশকে এ আসনের মানুষ প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে। তবুও টেকসই বাঁধের স্বপ্ন থেকেছে অধরা। আসনটির বর্তমান এমপি আকতারুজ্জামান বাবুর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ তৃণমূলের। এমপি হয়েও ঠিকাদারি কাজ করাসহ তার বিরুদ্ধে দলীয় কোন্দলের অভিযোগ রয়েছে। এ সুযোগে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন প্রার্থী এ আসনে নৌকার মনোনয়ন চাইছেন। তারা হলেন, সাবেক এমপি সোহরাব আলী সানা, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান জামাল, কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার জিএম মাহবুবুল আলম, সাবেক ছাত্রনেতা ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল, প্রয়াত এমপি অ্যাড. শেখ মো. নূরুল হকের ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ রাশেদুল ইসলাম রাসেল, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শেখ শহিদ উল্লাহ। আসনটিতে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপির প্রার্থীও একাধিক। তারা হলেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা, জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান মন্টু, বিএনপি নেতা শেখ শামসুল আলম পিন্টু, কয়রা উপজেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম। এছাড়াও জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু নির্বাচন করবেন এ আসন থেকে। এ আসনটিতে জামায়াত ইসলামীরও প্রার্থী রয়েছে। একাধিকবার নির্বাচিত দলটির সাবেক মহানগর আমীর ও বর্তমান আঞ্চলিক নেতা আবুল কালাম আজাদ প্রার্থী হিসাবে কাজ করছেন এলাকায়। হাতপাখা প্রতীকে প্রার্থী হতে পারেন আসাদুল্লাহ আল গালীব।