বিএনপি চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে সরকার হটাতে চায় : সেতুমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট : যারা সন্ত্রাস ও আগুন নিয়ে রাজনীতি করে তাদের পতন অনিবার্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, অবরোধের নামে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে সরকার হটাতে চায় বিএনপি। দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ চলবে। দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।
সেতুমন্ত্রী সোমবার সকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে সিলেটের বালাগঞ্জে নির্মাণাধীন ভাঙ্গাপুর সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি গত ২৮ তারিখ আন্দোলনের নামে প্রতারণার নাটক করেছে। তারা পুলিশ হত্যা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, পুলিশ হাসপাতালে হামলা, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে। তাদের হাতে দেশের জনগণ নিরাপদ নয়।
রাজনৈতিক নেতাকর্মী গ্রেফতার নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিবৃতিতে তথ্য ঘাটতি রয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বলা হচ্ছে জেলে থাকা ৮ হাজার নেতা-কর্মীকে (বিএনপি) মুক্তিদেওয়ার জন্য। তারা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র, আমরা তাদের বক্তব্যে নিন্দা জানাতে পারি না। তবে তাদের তথ্যে ঘাটতি আছে। তারা খোঁজ খবর নিয়ে বক্তব্য দেবে এবং বক্তব্যে সংশোধন করবে-এটাই স্বাভাবিক। আমরা তাদের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়াতে চাই না। আমরা বাংলাদেশেও কারো সঙ্গে ঝগড়া করতে চাই না।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সিলেট থেকে প্রথম নির্বাচনী জনসভা শুরু করবেন জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিতে সিলেটের প্রবাসীদের অবদান শেখ হাসিনা স্বীকার করেন। সিলেটের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপকহারে রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট করে দিয়েছে। সিলেটের মানুষও শেখ হাসিনাকে ভালোবাসেন, পছন্দ করেন।
দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক পাহারায় থাকার আহবান জানিয়ে কাদের বলেন, আমাদের হারানোর কিছু নেই। বিএনপি’র চোরাগোপ্তা হামলায় ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড.সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ।