বাগেরহাটে ফকিরহাটে সড়ক যেন মরণ ফাঁদ, মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

এস এম সাইফুল ইসলাম কবির.বাগেরহাট : দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায়বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী-বাইনতলা পাকা সড়কের ৫৯০ মিটার চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই সড়কটিতে চলছে যাত্রীবাহী যানবাহন। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের বড় বড় গর্তে পানি জমে থাকে। সড়কটি এমন অবস্থার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে দায়ি করেছেন এলাকাবাসী। এলজিইডি বিভাগ বলছে, বরাদ্দ আসলে সড়কটি সংস্কার করা হবে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার কাটাখালী-বাইনতলা সড়কের কাটাখালী থেকে লকপুর জলছত্র পর্যন্ত প্রায় ৫৯০ মিটার সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তে ভরে গেছে। সামন্য বৃষ্টি হলেই পানিতে ভরে এক ভুতুড়ে অবস্থার সৃষ্টি হয়। পথচারীসহ যানবাহন চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে এখানকার বেশিরভাগ মানুষ ভিন্ন পথ দিয়ে যাতায়াত করছেন।সড়কের এমন বেহাল দশার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে দায়ি করেছেন এলাকাবাসী। তারা জানান, খুলনা-মোংলা রেললাইন করার সময় এই সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহনে করে বিভিন্ন মালামাল ও জিনিসপত্র নিয়ে যাতায়াত করার ফলে সড়কে এমন খানাখন্দে ভরে গেছে। এখন বৃষ্টি হলেই গর্তগুলো পানিতে ভরে যায়। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সড়কটি আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

স্থানীয় মো. সেলিম শেখ, সিরাজ শেখ ও অসিম ঘোষসহ অনেকে জানান, ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করেন। পাশাপাশি অনেক যানবাহন চলাচল করে থাকে। এ ছাড়া কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সের মানুষ এখান থেকে কাটাখালী, খুলনা, বাগেরহাট, মোংলা, গোপালগঞ্জ, বটিয়াঘাটাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে থাকেন। অবিলম্বে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান তারা।

ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাস জানান, খুলনা-মোংলা রেললাইন করার সময় ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে ওই সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে সড়কগুলো ঠিক করা হবে।

ফকিরহাট উপজেলা প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান বলেন, খুলনা-মোংলা রেললাইন করার সময় মালবাহী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কটির এমন অবস্থা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সড়কের প্রাক্কলিত ব্যয় পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে সড়কটি সংস্কার করা হবে। তিনি আরো বলেন, সড়কের দুই পাশে অনেক দোকান ও বাড়ি-ঘর রয়েছে। কিন্তু দুই পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের ওপর পানি জমে থাকে। যে কারণে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সড়কটি আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *