নিবন্ধন ছাড়া কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিক বিদ্যালয় চালানো যাবে না
ডেস্ক রিপোর্ট : নিবন্ধন ও একাডেমিক স্বীকৃতি ছাড়া বেসরকারি পর্যায়ের কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় চালানো যাবে না। কিন্ডারগার্টেন, নার্সারি স্কুল এমনকি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংযুক্ত যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে, সবারই নিবন্ধন নিতে হবে। নিবন্ধন শেষে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে একাডেমিক স্বীকৃতিও নিতে হবে স্কুলগুলোকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা তিন-চার মাস ধরে কাজ করেছি। আইন মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত ভেটিং শেষ হয়েছে। এখন এসআরও নম্বরের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। এটি পেলে হয়তো আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই গেজেট জারি হয়ে যাবে। এতে আমাদের প্রাথমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো একটা নির্দিষ্ট নিয়মনীতির আওতায় আসবে।’
সচিব বলেন, বেসরকারি পর্যায়ে প্রায় ৪০ হাজারের বেশি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। এর ৯০ শতাংশই চলছে নিবন্ধন ও একাডেমিক স্বীকৃতি ছাড়া। তবে আমাদের ২০১১ সালের যে বিধিমালা ছিল, তাতে নিবন্ধনের জন্য সচিব পর্যন্ত ফাইল আসতে হতো। এখন এটাকে আমরা সহজ করে দিচ্ছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার তদন্ত করে রিপোর্ট দেবে এবং এর ভিত্তিতে বিভাগীয় উপপরিচালক নিবন্ধন দেবেন।
ফরিদ আহাম্মদ আরো বলেন, গতানুগতিক পদ্ধতিতে আর প্রাথমিকে বৃত্তি দেওয়া হবে না। তবে শিক্ষার্থীদের উত্সাহ ভাতা দেওয়া হবে। কোন পদ্ধতিতে দেওয়া হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে কমিটি করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কুড়িগ্রাম জেলায় বর্তমানে একটি প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (পিটিআই) আছে। তার পরও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সেই নিজ জেলার রৌমারী উপজেলায় নিজের গ্রামে নতুন একটি পিটিআই স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, চরাঞ্চলের শিক্ষকদের সুবিধার্থে এই পিটিআই করা হচ্ছে। আর সেখানে তার পরিবারের কোনো জমি নেই। তবে গ্রামের আত্মীয়স্বজনের জমি আছে। কিন্তু সেখানকার জমি বাস্তবে দাম সরকারি দামের (অধিগ্রহণের হার) চেয়ে তিন গুণ বেশি। তার দাবি লাভ নয় বরং লোকসান হচ্ছে।