আমাদের রেলপথ ভবিষ্যতে ট্রান্স এশিয়ান রেলপথের সাথে যুক্ত হবে : রেলপথ মন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট : রেলপথ মন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আমাদের রেলপথ ভবিষ্যতে ট্রান্স এশিয়ান রেলপথের সাথে যুক্ত হবে এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপন করা হবে।
আজ ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ফরিদপুরের ভাঙা জংশন পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের ট্রায়াল রান পরিদর্শনকালে ভাঙ্গা জংশনে প্র্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিদর্শন ও সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, সংসদ সদস্য শাজাহান খান, মুজিবুল হক, সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মেহের আফরোজ চুমকি, নিক্সন চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম শিমুল উপস্থিত ছিলেন।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পে ঢাকা থেকে যশোর ১৭২ কিমি রেলপথের ভৌত অগ্রগতি ৮২ শতাংশ। ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ভাঙ্গা জংশন পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথ উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আগামী ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী এ রেলপথ উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচেছ। ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথের ভৌত অগ্রগতি ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। ভাঙ্গা থেকে যশোর অংশের ভৌত অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রেলপথ ও অবকাঠামো ভবিষ্যতে ট্রান্স এশিয়ান রেলপথের সাথে যুক্ত করার লক্ষ্যে আধুনিক ও যুগোপযোগীভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। ভাঙ্গাতে আইকনিক স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক, সাশ্রয়ী ও যুগোপযোগী করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। রেলপথকে আধুনিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা এবং সে অনুযায়ী প্রকল্প নেয়া হয়েছে এবং পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ ট্রাকশন এর মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব রেল ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রত্যেকটি জেলাকে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় সংযুক্ত করা হবে এবং প্রত্যেকটি রেলপথকে ডাবল লাইনে ও ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে, নদী বন্দর এবং সমুদ্রবন্দর সমূহকে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় সংযোগে আনা হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর ও মহাপরিচালক মোঃ কামরুল আহসানসহ রেলওয়ের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।