বগুড়ার শেরপুর উপজেলার এক কলেজ অধ্যক্ষের প্রতারণায় এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারল না তিন শিক্ষার্থী

ডেস্ক রিপোর্ট : বগুড়ার শেরপুর উপজেলার এক কলেজ অধ্যক্ষের প্রতারণায় এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারল না তিন শিক্ষার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার কল্যানী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজে।
জানা যায়, ২০২২ সালে গোল্ডেন জিপিএ পাঁচ পেয়ে এসএসসি পাস করে , রাফসান এবং আলমগীর, ফয়সাল নামের তিন শিক্ষার্থী। যথারীতি তারা সরকারের পলিটেকনিকেলে ভর্তির জন্য আবেদন করেন। আবেদন অনুযায়ী ফয়সাল বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, রাফসান কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং আলমগীর নাটোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হবার সুযোগ পান। যথারীতি তারা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা তারা প্রতিষ্ঠানে নিজেদেরকে ভর্তি করান। কিন্তু বাধা সাজে তাদের পারিবারিক অসচ্ছলতা। এক সময় তারা ভর্তি বাতিল করে শেরপুরের কল্যাণী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজে ভর্তির জন্য কাগজপত্র এবং টাকা জমা দেন। রেজিস্ট্রেশন এর কথা বলে দফায় দফায় প্রতি ছাত্রের নিকট থেকে প্রায় আট হাজার টাকা করে আদায় করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই শিক্ষা বছরে ক্লাস করেছেন তারা সেখানে।
বিভিন্ন সময়ে কলেজের বেতন পরীক্ষার ফি এমনকি ফরম ফিলাপের ফি প্রদান করেছে এই শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পরীক্ষার পূর্বে তাদের আর প্রবেশপত্র দিতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রবেশপত্র আনতে গেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদেরকে জানায় তাদের রেজিস্ট্রেশন হয়নি বিধায় প্রবেশপত্র আসেনি। শিক্ষার্থী রাফসান জানায়, ২২-২৩ সেশনে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে ভর্তি বাতিল করেন, এবং কল্যাণী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (লিটন) এর নিকট মৌখিক চুক্তি হয় যে পূর্বের ভর্তি বাতিলসহ তার প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য প্রত্যেকে ২৭০০/=(দুই হাজার সাতশত) টাকা করে দিয়ে দেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় বেতন ও রেজিস্ট্রেশন, ফরম ফিলাপের জন্য আরও ৫৫০০/= (পাঁচ হাজার পাঁচশত) টাকা নেন অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (লিটন) । কিন্তু গত ১০/০৮/২০২৩ তে অধ্যক্ষ তাদের তিন জনকে ডেকে নিয়ে বলেন যে তারা প্রবেশপত্র দিতে পারবেনা কারণ তাদের রেজিস্ট্রেশনই হয়নি। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী রাফসান আহাম্মদ ও আলমগীর হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান হতাশ তিন শিক্ষার্থী নিকট হতে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে নেন এবং এ বিষয়টি অন্য কাউকে জানালে তাদের শিক্ষা জীবন শেষ করে দেয়া হবে। অধ্যক্ষ কর্তৃক প্রতারনার শিকার হয়ে তাদের শিক্ষা জীবন থেকে একটি বছর হারিয়ে ফেলেছেন বলে তাদের দাবি।
এ বিষয়ে কল্যাণী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (লিটন) এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন কারিগরি বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছেন , নির্দেশনার বাইরে তিনি কোন কাজ করেননি।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা সুলতানা নিকট যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি কোন অভিযোগ পাননি অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *