হবিগঞ্জ চুনারুঘাটে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার
বিশেষ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ছনখলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম ফজলুল হক কামাল (৪১) এর বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেনীর ১২ ও১১ বছরের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সে ওই এলাকার আমিন মিয়ার ছেলে।শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের অভিযোগের পর শিক্ষক কেএম ফজলুকে আটক করে পুলিশ ।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। দুই ছাত্রী ও তার পিতার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ছনখলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছুটির দিন শুক্রবারে ওই স্কুলের একটি রুমে প্রাইভেট পড়াতেন স্কুলশিক্ষক কেএম ফজলুল হক । তার কাছে প্রাইভেট পড়তে আসা একই স্কুলের ছাত্রী দুই চাচাতো বোনকে সু- কৌশলে ভয় দেখিয়ে বিগত ২৫ দিন পুর্বে স্কুলের ভাতরুমে নিয়ে ভিন্ন সময়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ওই দুই ছাত্রীকে। নির্যাতনের শিকার ওই দুই ছাত্রী জানায়, ধর্ষনের পর ওই শিক্ষক তাদের হুমকী দিয়ে বলেন, যদি তারা এ ঘটনায় মুখ খুলে তাহলে স্কুল থেকে তাদের নাম কেটে বের করে দেওয়া হবে। শিক্ষকের এমন হুমকিতে এক পর্যায়ে দুই বোন দীর্ঘদিন স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। দুই বোন স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিলে পরিবারের চাপে পড়ে অবশেষে শিক্ষকের ঘটনা বর্ণনা দেয় দুই ছাত্রী । অভিযুক্ত শিক্ষক কেএম ফজলুল হক ছাত্রীদের সঙ্গে এমন আচরণের বিষয়টি স্বীকার করে অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চান। এদিকে একজন শিক্ষকের এই ধরনের অসামাজিক কাজের ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার এক ছাত্রীর পিতা ওই অভিযুক্ত শিক্ষককের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মাধবপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এএসপি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে থানায় নিয়ে আসে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।