বসতবাড়ি উচ্ছেদ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে প্রেসক্লাব মোল্লাহাটে সংবাদ সম্মেলন

মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোল্লাহাটে সীমাহীন অত্যাচার, দৌরাত্ম ও ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বসতবাড়ি উচ্ছেদ চেষ্টার প্রতিকার দাবিতে অসহায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রেসক্লাব মোল্লাহাটের সভা কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের প্রধান ওলীমা খানম (৭৩) লিখিত বক্তব্যে জানান, ৫২ নং গাড়ফা মৌজার ডিপি ৬১৩ খতিয়ানের ৭৭৯ দাগে ১৩ শতক দলিল কৃত ও পৌত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত জমিতে দীর্ঘ ২৫/৩০ বছর ধরে বসবাস করছেন। পরবর্তীতে নিজের ভাই আরিফ চৌধুরী ওলীমা খানমের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওলীমা খানমের কিছু জায়গা দখল করে নেয় আরিফ চৌধুরী। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে ওলীমা খানম ও তার ছেলে রাশিদুজ্জামান বিপু’কে সীমাহীন জুলুম, অত্যাচার ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বসতবাড়ি থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করে। যার ধারাবাহিকতায় গত ১৯/০৬/২০২৩ ইং তারিখ খুব সকালে আরিফ চৌধুরীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় তার চাচাতো ভাই ও ভাইপোদের দিয়ে তাদেরকে (মা-ছেলে) ভয়ভীতি দেখিয়ে রান্নাঘর, বাথরুম ও ল্যাট্রিন ভাঙচুর করে এবং বিভিন্ন প্রকার ফলজ ও বনজ গাছ গাছালি কেটে বেড়া নির্মাণ করে। তখন ৯৯৯ এ কল করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয় কতৃপক্ষ। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় বলেও উল্লেখ করেন ওলীমা খানম।
এরপর আবারো ২১/০৬/২০২৩ ইং তারিখে সকালে বাথরুম, ল্যাট্রিন ও বড় একটি রান্না/গুদাম ঘরের ব্যাপক ভাঙচুর এবং ক্ষতিসাধন করে। আবারো ৯৯৯ এ ফোন করলে তারা এসে বিষয়টি দেখে উভয় পক্ষকে থানায় যেতে বলে। তখন তারা থানায় গেলেও প্রতিপক্ষ যায় নাই।
লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ্য, ওলীমা খানমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় আরিফ চৌধুরীর ২০ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। কোনপ্রকার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে কেবল খামখেয়ালি ও সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তাদের মা ছেলেকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য ষড়যন্ত্রে মাতোয়ারা হয়ে গেছে। ফলে ওলীমা খানম ও তার ছেলে রাশিদুজ্জামান বিপু অত্যন্ত নিরাপত্তাহীনতায় ও শংকায় রয়েছেন বলে জানান। তারা এর যথাযথ প্রতিকার দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্থক্ষেপ কামনা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *