জামিনের আসামিকে নির্যাতনবিচারক ও দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে হাই কোর্টে তলব
নিজস্ব প্রতিবেদক : উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেওয়ার পরও দুজনকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে টাকা আদায়ের ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে এক বিচারকসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শরীয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ওই জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির এবং পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান আগামী ১৬ জুলাই আদালতে হাজির হয়ে এ ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত। একই সঙ্গে পুলিশপ্রধান (আইজিপি) ও শরীয়তপুরের পুলিশ সুপারকেও (এসপি) এ বিষয়ে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলেছেন হাই কোর্ট। আদালতে এ সংক্রান্ত আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিসুর রহমান। পরে আইনজীবী মজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ছিনতাই মামলায় সাত আসামিকে হাই কোর্ট জামিন দেন। এই জামিনপ্রাপ্তির পরও সাতজনের মধ্যে দুজনকে পুলিশ আটক করে নিয়ে নির্যাতন করে টাকা আদায় করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত জামিনের তথ্য যাচাই-বাছাই না করে আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এ ঘটনায় পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে আমি আবার আদালতে উপস্থাপন করি। আদালত শুনানি নিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তা এবং এক বিচারককে তলব করেছেন। পাশাপাশি পুলিশপ্রধান এবং শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপারকে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন। একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়া কয়েকজন আসামি ও তাদের স্বজনদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে ৭২ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। শরীয়তপুরের নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির ও পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলে এক ভুক্তভোগীর বড় ভাই আবু জাফর ঠান্ডু জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।