সংস্কারের ব্যবস্থা না করলে, অতি ঝুকিপূর্ণ কারখানা বন্ধ করার পদক্ষেপ

ডেস্ক রিপোর্ট : অতি ঝুকিপূর্ণ কারখানা সংস্কারের ব্যবস্থা না করলে, সেগুলো বন্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তিঘোষ। তিনি বলেন, এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিল পরিদর্শনের মাধ্যমে যেসব কারখানা অতি ঝুকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে, সেগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা না করলে- সেগুলো বন্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একইসাথে সরকারি সংস্থাগুলোর এক্ষেত্রে এনফোর্সমেন্ট আরও জোরদার করার প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, সেফটি কাউন্সিল ৫ হাজার ২০৬ টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছে। তার মধ্যে শতাধিক প্রতিষ্ঠান পাওয়া গেছে, যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিল ফেডারেশন ভবনে এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিল আয়োজিত ‘লিভারেজিং লেসনস লার্নড টু মুভ ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তপন কান্তি ঘোষ পাঁচ হাজারের বেশি কারখানা পরিদর্শনের জন্য এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, পণ্য রপ্তানীর ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠান কমপ্লায়েন্স না মানলে, বিদেশি গ্রাহকরা সহজে সেই পণ্য কিনতে চায় না। বিদেশি গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে কমপ্লায়েন্স মেনে চলছে, ঠিক দেশি গ্রাহকদের জন্য ফায়ার সেফটিসহ নানা কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জরুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত কমপ্লায়েন্স ও নিরাপত্তার দিকে অনেক ভালো করছে। বিশ্বের সেরা ১০ টি গ্রিন ফ্যাক্টরির মধ্যে ৮ টির অবস্থান এখন বাংলাদেশে। আমাদের আরএমজি সেক্টরের কম্পায়েন্সের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান দারুণ প্রশংসা করে। আমার মতে, যেসব পণ্য রপ্তানী হচ্ছে- সেগুলোর কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা যেমন জরুরী, ঠিক একই ভাবে আমাদের দেশীয় গ্রাহকদের জন্য যেসব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পণ্য উৎপাদন করে, তাদেরও একইরকম কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জরুরী। তিনি জানান, এফবিসিসিআই দেশের প্রধান বাণিজ্য সংগঠন। কলকারখানার নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের কাজ করার কথা নয়। কিন্তু বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কর্মীদের প্রাণহানিসহ ব্যবসায়ীদের যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, সেগুলো কাটিয়ে উঠতে এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। ইতোমধ্যে এই সেফটি কাউন্সিল ৫ হাজার ২০৬ টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছে। তার মধ্যে আমরা ১০০ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান পেয়েছি, যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। তাদের সাথে আমরা আলোচনায় বসে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো।
কর্মশালায় বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক মাইন উদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যবসায়ীরা সুন্দরভাবে ব্যবসা করে আসছে দেখেই দেশ আজ এগোচ্ছে। ব্যবসায়ীদের হাত ধরেই ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হবে বলে আমি আশা করি। তবে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তায় পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেল তৈরি করা অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু,এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মোঃ শহিদল্লাহ, এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *