মাগুরা শ্রীপুরে অবৈধভাবে মন্দিরের জমি রেকর্ডের অভিযোগ
মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরার শ্রীপুরে ২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মন্দিরের জায়গা অবৈধভাবে রেকর্ড করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার টুপিপাড়া খামারপাড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের ২৩ শতাংশ জমির ২০ শতাংশ জমি মন্দির কমিটির সভাপতি নিশিত চন্দ্র শিকদার ও বিষ্ণুপদ কুন্ডু নিজেদের নামে রেকর্ড করে নিয়েছে। এ বিষয়ে নরহরী কুন্ডু বাদী হয়ে মাগুরা বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, টুপিপাড়া মৌজার এস.এ ২৪২ নং খতিয়ানের ১৪ নং দাগের মুকুন্দলাল শিকদার ও হরেন্দ্রনাথ শিকদার একত্রে ৪৬ শতাংশ জমির মালিক। ১৯৬৪ সালে তারা দুজনে টুপিপাড়া দূর্গা মন্দিরের নামে ২৩ শতাংশ জমি দান করেন। বর্তমান আর.এস জরিপে মাত্র ৩ শতাংশ জমি টুপিপাড়া দূর্গা মন্দিরের নামে রেকর্ড হয়। ভুলবশত মন্দির কমিটির সভাপতি নিশিত চন্দ্র শিকদার বিষ্ণুপদ কুন্ডুর নামে রেকর্ড হয়। ১৯৬৪ সালে হিন্দুদের জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ থাকায় মুকুন্দলাল শিকদার ও হরেন্দ্রলাল শিকদার উক্ত জমির কোন রেজিস্ট্রি দলিল করে যেতে পারেনি। ১৯৬৫ সালে এই জমি সর্বসাধারণের পূজা অর্চনার জন্য মন্দির স্থাপন করে ভারতে চলে যান। হরেন্দ্রনাথ শিকদার বা অন্য কোন ব্যক্তি ওই জমির বৈধ কোন মালিক না। দীর্ঘ ৬০ বছরের অধিক সময় ধরে বাদী পক্ষের স্বত্বাধিকারী রয়েছে এবং সেখানে অবস্থিত মন্দিরে সে সময় কাল থেকেই পূজা অর্চনা হয়ে আসছে।
মামলার বাদী নরহরী কুন্ডু বলেন, আমাদের বাপ-দাদারা এই মন্দিরে পূজা করে গেছেন। এখন আমরা ও গ্রামবাসী করছি। মুকুন্দলাল শিকদার ও হরেন্দ্রনাথ শিকদার মন্দিরে ২৩ শতাংশ জমি দান করে গেছেন। এখন মন্দিরে নামে মাত্র ৩ শতাংশ জমি রেকর্ড হয়েছে। কিসের বুনিয়াদে ৩ শতাংশ জমি রেকর্ড হয়েছে তাও জানিনে। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলাও চলছে। এখন সঠিক যাদের কাগজপত্র আছে তারা এই জমিটা পেলেও আমাদের কোন আপত্তি নেই।
মামলার বিবাদী ও মন্দিরের সভাপতি নিশিত চন্দ্র শিকদার বলেন, আমি ১৯৮৬ সালে মন্দিরের জন্য ৩ শতাংশ জমি স্ব-ইচ্ছায় রেকর্ড করে দিই। পূর্বে এই মন্দিরের নামে কোন জমি ছিলো না। আমার বাপ, ঠাকুরদা ও কাকারা থেকে মন্দির স্থাপন করেন। এর আগে এ নিয়ে কোন কথা হয়নি। এখানে ২৩ শতাংশ জমি ছিলো আমার বড় ভাইয়ের নামে আর ২৩ শতাংশ ছিলো আমার জেঠাদের নামে। এখান থেকে জেঠামশাই আমার নামে ১৪ শতাংশ জমি রেকর্ড করে দেন।সেখান থেকে আমি ৯ শতাংশ জমি বিক্রি করেছি। বাকি জমি আমি মন্দিরের নামে লিখে দিবো।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্যামানন্দ কুন্ডু বলেন, এ বিষয়ে কেউ আমাকে অবগত করেনি৷ তারা অফিসে আসলে বিষয়টি দেখবো।
বিকাশ বাছাড়, মাগুরা, ০৮.০৬.২৩