গত ১ বছরে সারাদেশে ৮লক্ষেরও বেশী (মামলা) নিষ্পত্তি করেছি -শেরপুরে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
মোঃ আরিফুর রহমান শেরপুর জেলা প্রতিনিধি : আজ থেকে পঞ্চাশ, ষাট বছর আগে দেশের অবস্থা যা ছিলো, এখন তা পরর্বিতন হয়েছে এবং আমরা দ্রুত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছি। গতিশীল রাষ্ট্রের সাথে খাপ খাইয়ে একটি গতিশীল জুডিশিয়ারী তৈরী করতে আমরা বদ্ধ পরীকর বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ একটাই, দেশকে আরো গতিশীলতার সাথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আজ সকালে শেরপুর জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচার র্প্রাথীদের জন্য নির্মিতব্য ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর এসব কথা বলেন। এর আগে শেরপুরের বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন প্রধান বিচারপতি।
এসময় প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, ২০২২ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে সবচেয়ে বেশী সংখ্যাক ডেথ রেফারেন্স ক্যাস যা গত ৫০ বছরেও হয়নি ডিসপোজাল হয়েছে ১৫৫ টি। গত বছর আমরা সারাদেশে আট লক্ষেরও বেশী (মামলা) নিষ্পত্তি করেছি। এর বিপরীতে কেস ফাইলিং ছিলো সাত লক্ষের কিছু বেশী। মামলা দাখিলের চেয়ে নিষ্পত্তি হয়েছে বেশী। আমরা দ্রুত মামলারজট সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসতে কাজ করছি।
প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, শেরপুরে গতবছর ম্যাজিস্ট্রেটিতে কেস ডিসপোজাল হয়েছে ১৪২ পার্সেন্ট। জজশীপে বিশেষ করে সিভিল কেসগুলো ডিসপোজাল হয়েছে ১০১ পার্সেন্ট গত তিন মাসে তা বেড়ে নিষ্পত্তি হয়েছে ১০৬ পার্সেন্ট (মামলা)। দেশের অন্যান্য জেলার চেয়ে শেরপুরে মামলার জট অনেকটাই কম ও সহনশীল পর্যায়ে আছে।
পরে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী জেলা আইনজীবি সমিতিতে নবনির্মিত বার লাইব্রেরীর উদ্বোধন ও আইনজীবিদের সাথে মতবনিমিয় করনে।
এসময় প্রধান বিচারপতির সাথে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিষ্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিষ্ট্রার মুন্সী মশিয়ার রহমান, জেলা ও দায়রা জজ মো: তৌফিক আজিজ, শেরপুর জেলা প্রশাসক, শেরপুর জেলা পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুস সবুর মিনা এবং চীফ জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট এসএম হুমায়ুন কবীর, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট এমকে মুরাদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মুন্নাসহ স্থানীয় আইনজীবি ও গণমাধ্যমর্কমীরা উপস্থিত ছিলেন।