প্রধানমন্ত্রী আজ বিশ্ব ব্যাংকের ৫০ বছরের অংশীদারিত্বের অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন
ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আজ সকালে যোগ দিবেন।
তিনি ডব্লিউবি’র প্রিস্টন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠেয় ‘বিশ্বব্যাংক-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের ৫০ বছরের প্রতিফলন’ বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভাষণ দিবেন।
এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান উপস্থিত থাকবেন।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এবং প্রতিষ্ঠানটির সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌসিক বসু অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিবেন এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন বৈশ্বিক ঋণদাতা ভিপি মার্টিন।
পরে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের ইস্ট ডাইনিং রুমে বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট, এমডি এবং ভিপিদের সাথে পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন শেষে একটি উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়িক মধ্যাহ্নভোজ সভায় যোগ দিবেন।
তিনি বিশ্ব ব্যাংকের সদরদপ্তরে শিহাতা সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ব্যাংকের বোর্ড সদস্যদের সাথে একটি বৈঠকে ভাষণ দিবেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে ডব্লিউবি সদরদপ্তরে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক এবং এর এসএআর ভিপি মার্টিন রাইজার ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানাবেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সাথে প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে একটি চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন এবং প্রদর্শনীর কিছু মূল চিত্র ঘুরে দেখবেন।
পরে শেখ হাসিনা একটি নৃত্য পরিবেশন প্রত্যক্ষ করবেন।
অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংকের ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব’ বিষয়ক একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হবে।
এরআগে প্রধানমন্ত্রী ডব্লিউবি’র প্রোগ্রামে যোগ দিতে ২৮ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে তাঁর ছয় দিনের সফরের পর শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য ও কমনওয়েলথ দেশের রাজা ও রাণী হিসেবে চার্লস তৃতীয় এবং তার পতœী ক্যামিলার রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৪ মে লন্ডনের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করবেন।
এরআগে ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ চার্টার্ড ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি-১৪০৩) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) টোকিও’র হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
জাপানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা এবং বিমানবন্দরে তাঁকে স্ট্যাটিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
তাঁর জাপান সফরকালে ঢাকা ও টোকিও কৃষি, মেট্রো রেল, শিল্প উন্নয়ন, জাহাজ রিসাইক্লিং, শুল্ক, মেধা সম্পদ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি এবং সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ে আটটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে।
২৬ এপ্রিল শেখ হাসিনা জাপানের সম্্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
একই দিন প্রধানমন্ত্রী জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সাথে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেন।
২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য জাপানের চার নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ হস্তান্তরের পাশাপাশি একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন এবং প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
টোকিও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি এবং জাইকা, জেট্রো, জেবিআইসি, জেবিপিএফএল ও জেবিসিসিইসি’র নেতাদের সঙ্গে একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
তিনি জাপানের প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের স্ত্রী আকি অ্যাবে এবং জাপানের এক স্থপতি তাদাও আন্দোর সাথেও সাক্ষাত সাক্ষাত করেন।
আগামী ৯ মে প্রধানমন্ত্রী লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরবেন।