চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ কর্তৃক সংঘবদ্ধ ইজিবাইক চোরচক্র গ্রেফতার এবং চোরাই ইজিবাইক ও ইজিবাইকের অংশবিশেষ উদ্ধার।
মশিউর রহমান : চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন গড়াবাড়ীয়া গ্রামের মোঃ রেজাউল মালিতা থানায় হাজির হয়ে অজ্ঞাতনামা চোর/চোরদের বিরুদ্ধে লিখিত এজাহার দাখিল করেন যে, তিনি পেশায় একজন ইজিবাইক চালক। প্রতিদিনের ন্যায় গত ০৮ এপ্রিল ২০২৩ সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকায় ইজিবাইক নিয়ে ভাড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি হতে বের হন। দুপুর অনুমান ০১.৩০ ঘটিকায় তিনি ইজিবাইকটি চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল মসজিদের সামনে রাস্তার পাশে রেখে যোহরের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে দুপুর অনুমান ০১.৪৫ ঘটিকায় মসজিদের সামনে এসে দেখেন তার ইজিবাইকটি নেই। তিনি তার ইজিবাইকটি সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হাজির হয়ে অজ্ঞাতনামা চোর/চোরদের বিরুদ্ধে এফআইআর নং-১৪, তারিখ-১৬.০৪.২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-৩৭৯ পেনাল কোড রুজু করেন।
জনাব আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার দিক-নির্দেশনায় জনাব মোঃ মাহাব্বুর রহমান, অফিসার ইনচার্জ, চুয়াডাঙ্গা থানার নেতৃত্বে এসআই(নিঃ) মোঃ মাসুম বেল্লা, এসআই(নিঃ) ভবতোষ রায় সংগীয় ফোর্সসহ প্রাপ্ত তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৭.০৪.২০২৩খ্রিঃ তারিখ রাত ১২:২০ ঘটিকার সময় আসামী ১। মোঃ সালেদুজ্বামান সালেদ(২২)-কে তার নিজ বাড়ী হতে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানায় যে, তার ছোট ভাই মোঃ রিপনুজ্বামান রিপন (আব্দুল্লাহ) চুয়াডাঙ্গা শহর হতে ইজিবাইক চুরি করে তাদের বাড়ীর পাশে মোঃ কেরামতের মাধ্যমে কুষ্টিয়া শাহিনুরের কাছে বিক্রয় করে। তখন সংগীয় ফোর্সসহ পার্শ্ববতী কেরামতের বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্ত, কেরামত পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। সে মময় তার বাড়ীতে থাকা একটি ইজিবাইক গ্রেফতারকৃত আসামী চোরাই বলে জানালে সাধারণ ডায়রী মূলে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে জব্দ করা হয়। অতপর: আসামী সহ কুষ্টিয়া কাটাইখানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী ২। মোঃ শাহিন হোসেন(২৫)-কে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিঙ্গাসাবাদে জানায় তার কাছে বিক্রয় করা ইজিবাইকগুলোর মধ্যে ১টি ইজিবাইক স্বপনের গ্যারেজে আছে, ১টি ইজিবাইক হেলালের নিকট বিক্রয় করেছে এবং অপরটি রাজবাড়ী পাংশায় বিক্রয় করেছে। তখন আসামী শাহিনকে সাথে নিয়ে স্বপনের গ্যারেজ হতে তার দেখানো মতে একটি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের সাথে নিয়ে আসামী ৩। মোঃ হেলাল(৩৪)-কে কুষ্টিয়া বাসষ্টান্ড এলাকা হতে গ্রেফতার করে জিঙ্গাসাবাদে জানা যায় যে, অত্র মামলার চোরাই ইজিবাইকটি কুষ্টিয়া সদর থানাধীন নগর মোহাম্মদপুর জনৈক জামিরের গ্যারেজে রেখে ভাংগারী হিসেবে ইজিবাইকের কিছু অংশ বিক্রয় করেছে এবং অবশিষ্ট অংশ সেখানে আছে। গ্রেফতারকৃত আসামী সংগীয় ফোর্সসহ সেখানে গিয়ে আসামী মোঃ হেলাল(৩৪)-এর দেখানো মতে অত্র মামলার চোরাই ইজিবাইকের তিনটি চাকা, ইজিবাইকের চেচিসের সাথে সংযুক্ত অংশ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে চোরাই আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়। আসামী হেলালের হেফাজতে থাকা ইজিবাইকটির কাগজপত্র তাৎক্ষনিকভাবে আসামী শাহিন উক্ত ইজিবাইকটি চোরাই বলে জানালে সাধারণ ডায়রী মূলে জব্দ করা হয়। এছাড়াও আসামী মোঃ হেলাল(৩৪) চোরাই ইজিবাইকের ০৫ (পাঁচটি) ব্যাটারি বটতৈল কুদ্দুসের অটোওয়ার্কশপে তার ছেলে আসামী ৪। মোঃ সিজান আহম্মেদ রনি(২৮) এর কাছে বিক্রয় করেছে জানালে গ্রেফতারকৃত আসামী এবং জব্দকৃত আলামতসহ উক্ত ওয়ার্কশপে হাজির হয়ে আসামী হেলালের দেখানো ও সনাক্ত মতে আসামী ৪। মোঃ সিজান আহম্মেদ রনি(২৮) কে গ্রেফতার করা হয় এবং তার হেফাজত হতে অত্র মামলার চোরাই ইজিবাইকের ০৫ (পাঁচটি) ব্যাটারি সাক্ষীদের উপস্থিতিতে জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম ও ঠিকানাঃ
১। মোঃ সালেদুজ্বামান সালেদ (২২), পিতা-মোঃ আঃ কুদ্দুস, মাতা-মোছাঃ হালিমা, গ্রাম-বকশীপুর খালপাড়া, থানা- আলমডাঙ্গা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা,
২। মোঃ শাহিন হোসেন(২৫), পিতা-মৃত আব্দুল শেখ, গ্রাম-হাবাসপুর, থানা-পাংশা, জেলা-রাজবাড়ী, বর্তমান কাটাইখাল মোড়, কাশেম ক্লিনিকের পাশের গলি, থানা ও জেলা-কুষ্টিয়া,
৩। মোঃ হেলাল(৩৪), পিতা-মোঃ আঃ মালেক, সাং-শানপুকুরিয়া, থানা-কুমারখালী, জেলা-কুষ্টিয়া,
৪। মোঃ সিজান আহম্মেদ রনি(২৮), পিতা-মোঃ আঃ কুদ্দুস, সাং-বাড়াদী খালপাড়, থানা ও জেলা-কুষ্টিয়া
জব্দকৃত আলামতঃ মোট ০৪টি ইজিবাইক এবং ইজিবাইকের অংশবিশেষ উদ্ধার।