আগুন লাগানোর সঙ্গে বিএনপি জড়িত থাকতে পারে : ওবায়দুল কাদের
ডেস্ক রিপোর্ট : বিভিন্ন মার্কেটে আগুন লাগানোর সঙ্গে বিএনপি জড়িত থাকতে পারে বলে মন্তব্য করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, জ্বালাও-পোড়াও তাদের (বিএনপির) পুরানো অভ্যাস। আন্দোলন জমানোর জন্য বিএনপি আগুন লাগানোর কৌশল বেছে নিতে পারে। আন্দোলন জমাতে বিএনপি আগুন লাগানোর কৌশল বেছে নিলো কিনা সেটা এখন বড় প্রশ্ন। এই রহস্য অবশ্যই উদঘাটন করা হবে।
ওবায়দুল কাদের আজ রোববার বিকেলে মিরপুরের কাফরুলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
সারাদেশের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনার বিষয়ে জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এখন থেকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। আগুন নিয়ে খেললে তার সমুচিত জবাব দেয়া হবে। সেজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ইফতার করার আগে রোজা মুখে মির্জা ফখরুল কিভাবে এত মিথ্যা বলেন? প্যাথলজিক্যাল লায়ার হচ্ছেন ফখরুল ইসলাম। তার মুখ দিয়ে মিথ্যা ছাড়া কিছু শুনবেন না। ইফতারের আগে মিথ্যা কেন বলে রোজা রেখে? বিএনপি হচ্ছে ওই ধরনের ধর্মানুরাগী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন বৈঠক শুরু করেছে বিদেশিদের সাথে, আমেরিকার সাথে। আমেরিকা নাকি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন নিয়ে। আমেরিকা আমাদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমরা মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছি। বৈঠকে পিটার হাস একবারও উদ্বেগের কথা বলেননি। তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। মাথাব্যথা বিএনপি এবং সমমনা দলগুলোর।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে আর বিএনপি সামর্থবানদের নিয়ে ইফতার পার্টি খায়। এই হচ্ছে বিএনপির সাথে আওয়ামী লীগের পার্থক্য।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল প্রতিদিন বাকশাল বাকশাল করেন। বাকশালের বিরুদ্ধে কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কেন বাকশালে যোগ দিয়েছিল এর উত্তর দিবেন বাকশালের বিরুদ্ধে কথা বলার আগে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল অনেক কিছু জানেন না। গোপন যে হুকুম আসে লন্ডন থেকে- যারা পায় তারা জানে সেই পলাতক দন্ডিত আসামী কি অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে!
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সামনে খারাপ দিন। ওরা জানে নির্বাচন হলে শেখ হাসিনার সঙ্গে পারবে না। সত্যিকারের নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জিততে পারবে না। তারা আন্দোলন করে দেখেছে। নেতাকর্মী ছাড়া জনগণ নেই। জনগণ শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে। জনগণ মনে করে শেখ হাসিনা সৎ, পরিশ্রমী। বিএনপি বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল। আজকে শেখ হাসিনা সেই বাংলাদেশকে সফল রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মানুষকে ভালোবাসে না। বিএনপি চায় ক্ষমতা। শেখ হাসিনা চায় মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন। বিএনপি চায় তাদের পকেটের উন্নয়ন। দুর্নীতি করে টাকা কামাবে, বিদেশে টাকা পাচার করবে। বাংলা ভাই তৈরি করবে। সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা জীবিত থাকতে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জীবিত থাকতে সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী অপশক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান প্রমুখ।