তীব্র তাপদাহে লোডশেডিং, অতিষ্ঠ আদমদীঘি উপজেলার জনজীবন

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদর ও সান্তাহার পৌর শহরে গত এক সপ্তাহে তীব্র তাপদাহ ও ব্যাপক লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে উপজেলাসহ আশেপাশের জনজীবন। রমজান এবং পবিত্র ইদুল ফিতরকে সামনে রেখে মানুষের জীবন যাত্রার ব্যস্ততায় তাপদাহ ও লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়েছে ব্যাপক ভাবে।
এই তীব্র তাপদাহের মধ্যে কোনো নিয়মনীতি ছাড়াই দেয়া হচ্ছে লোডশেডিং। এ কারণে প্রায় সব ব্যাপক লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছে সান্তাহার পৌরবাসী ও উপজেলাসগ আশেপাশের এলাকার জনগণ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। যখন সব জায়গায় তাপদাহে ও রোজা থেকে মানুষ হাঁপিয়ে উঠছে ঠিক তখনই ঘণ্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে তীব্র তাপদাহে ক্রেতারা বড় বড় এসি যুক্ত শপিং মহলে চলে যাওয়ায় ক্রেতা সংকটে ভুগছেন ফুটপাতের হকার ও ছোট আকারের দোকানীরা। তাপ দাহের মধ্যে লোডশেডিং দেয়ায় বাসা-বাড়িসহ সর্বত্ব অবস্থান নেয়া মানুষ হাঁপিয়ে উঠছে।
সান্তাহার পৌর শহরের চা- বাগান মহল্লার বাসিন্দা রাকিব হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের লোডশেডিংয়ের রোস্টার না মেনেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং জনজীবনকে বিষিয়ে তুলেছে। এই অবস্থায় তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। অপরদিকে ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেমে এসেছে স্থবিরতা।
পৌর শহরের নামা পৌওতা মহল্লার বাসিন্দা নেহাল আহম্মেদ বলেন, এখন পবিত্র মাহে রমজান চলছে, তার ওপর তীব্র গরম। এই রমজানে গরমের মধ্যে এত বেশি লোডশেডিং মেনে নিতে পারছি না। লোডশেডিং রোধে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দেওয়া জরুরী হয়ে গেছে।
সান্তাহার কাপড় ব্যবসায়ী মতিউর রহমান বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক কিছু নির্ভর করে বিদ্যুতের ওপর। কিন্তু অতি মাত্রায় লোডশেডিংয়ের কারণে এখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সচল রাখাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সান্তাহার নেসকো লিঃ এর নিবার্হী প্রকৌশলী ওমর ফারুক বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। এই মুহূর্তে আমরা চাহিদার তুলনায় জাতীয় গ্রেড থেকে বিদুৎ সরবরাহ কম পাচ্ছি। আমরা গ্রিডে যদি কম পায়, তাহলে গ্রাহক পর্যায়ে সরবরাহ কম পাবে। যার কারণে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। সমস্যা উত্তোরণে আরও কিছু দিন সময় লাগতে পারে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *