সাতক্ষীরা শ্যামনগর কল্যাণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সত্য নয়, ষড়যন্ত্র এবং নাটকীয় ভাবে সৃষ্টি হয়েছে, যাহা এলাকাবাসির ভাষ্য

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি : শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বাদল গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম লুৎফর রহমান। তিনি শ্যামনগরের ১৬ নম্বর কল্যাণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। দুপরে তাকে সাতক্ষীরা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’ এজাহার থেকে জানা গেছে, ওই ছাত্রী সম্প্রতি কল্যাণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পাশ করে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। লুৎফর রহমান ওই ছাত্রী ও তার ভাইকে বাড়িতে প্রাইভেট পড়াতেন। কিছুদিন আগে ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর সময় ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তার চিৎকারে পরিবারে লোকজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে ওই শিক্ষক পালিয়ে যান। ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘বিষয়টি জেলা শিক্ষা অফিসারকে জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি। ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।’ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা শ্যামনগর থানায় একটি মামলা করেছেন। এই মামলায় ওই শিক্ষককে আমরা বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছি। মঙ্গলবার সাড়ে ১২টায় তাকে সাতক্ষীরা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’ এলাকার সচেতন মহল ও শিক্ষকের পরিবারের সদস্যদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে লুৎফর রহমানকে ফাঁসানো হয়েছে। অত্র পত্রিকার ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিদ্বয় সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে বিস্তারিত আকারে জানতে পারে প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান ধর্ষিত আকারে কোন কার্যক্রমে ন্যস্ত ছিলো না। প্রাইভেটের অজুহাতে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। এলাকার গুণীজনের ভাষ্য, একজন প্রধান শিক্ষক কোন আকারে প্রকারে একজন শিশুকে ধর্ষণের গুঞ্জন তৈরি করতে পারে না। শিক্ষা ডিপার্টমেন্ট প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানের সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা করে তথ্য পরিবেশন করেছেন। যাহাতে আদালত সহজেই জামিন মঞ্জুর করতে সক্ষম হয়েছে। (বিস্তারিত আকারে আগামীতে চোখ রাখুন)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *