রোজা-ঈদ ঘিরে অপরাধ দমন কার্যক্রম জোরদার করতে আইজিপির নির্দেশ
ডেস্ক রিপোর্ট : রমজান ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ দমনে জোরালো কার্যক্রম গ্রহণের জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টিসহ অন্যান্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরনের অপরাধ দমনে নজরদারি জোরদার করতে হবে।
আইজিপি আজ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ (ফেব্রুয়ারি ২০২৩) পর্যালোচনা ও সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. আতিকুল ইসলাম ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন- ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধার ইত্যাদি মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন।
আইজিপি বলেন, কেউ যেন ধর্মীয় উসকানি দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে সেজন্য পুলিশের মনিটরিং জোরদার করতে হবে। তিনি বলেন, এ কাজে বিট অফিসারদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে, যাতে তারা নিজ নিজ এলাকার প্রতিটি ঘটনা সম্পর্কে অবহিত থাকে। কোথাও কোন ধরনের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আইজিপি ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের ঈদ যাত্রা নির্বিঘœ এবং সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি ফিটনেসবিহীন বাস ও লঞ্চের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার রোধকল্পে নিয়মিতভাবে গানচেকিং করতে হবে। তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আরও বেশি তৎপর হওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
আইজিপি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউনিট প্রধানদের নির্দেশ দেন।
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে। জনগণ জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে প্রতিনিয়ত পুলিশের সেবা পাচ্ছেন। তিনি জনগণকে আরও উন্নত সেবা প্রদানের জন্য সচেষ্ট থাকতে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্য অতিরিক্ত আইজিপিগণ এবং ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, সকল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও রেঞ্জের ডিআইজি উপস্থিত ছিলেন।