মোল্লাহাটে মুক্তিপণ আদায় চেষ্টার অভিযোগে মহিলা সহ গ্রেপ্তার ৪

মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোল্লাহাটে যুবতী মহিলাকে দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক যুবককে এনে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় চেষ্টা কালে ওই মহিলা সহ জড়িত আরও তিন যুবককে হাতেনাতে আটক করেছে মোল্লাহাট থানা পুলিশ। উপজেলার কামারগ্রাম এলাকা হতে গত রবিবার ভোর রাত ৪টার দিকে ভিকটিমকে উদ্ধার ও মুক্তিপণ আদায় চেষ্টায় জড়িতদের আটক করা হয়।

আটকৃতরা হল পাশ্ববর্তী গোপালগঞ্জ জেলাধীন টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের নাসির সিকদারের ছেলে কাদের সিকদার (২১), বশার বিশ্বাসের মেয়ে মাকসুদা আক্তার নিলা (২১), আকরাম সেখের ছেলে খালিদ সেখ(১৯) ও জুয়েল ফকিরের ছেলে সাজ্জাদ ফকির(১৬)।

থানা অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশ জানান,
ভিকটিম রাকিব ওরফে রাশেদ (২৩) পিতা-আসলাম হাওলাদার, সাং-চরকানম, থানা+জেলা-বরিশাল। ঢাকা তেজগাঁও একটি কোম্পানিতে চাকুরী করা অবস্থায় মাকছুদা আক্তার নীলা (২১) পিতা-বশার বিশ্বাস, সাং-গিমাডাঙ্গা, থানা-টুঙ্গীপাড়া, জেলা-গোপালগঞ্জ এর সহিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) এ পরিচয় হয়। উক্ত পরিচয় সূত্রে আসামী মাকছুদা আক্তার নীলার আমন্ত্রনে গত ইং-২৫/০৩/২৩ তারিখ বিকাল অনুমান ০৫.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম রাকিব ওরফে রাশেদ ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়ায় এসে নামে। সেখানে পূর্ব থেকে অপেক্ষমান আসামী মাকছুদা আক্তার নীলা বেড়ানোর কথা বলে ভিকটিম রাশেদকে একটি ইজি বাইকে তোলে। কিছুদুর যাওয়ার পর উক্ত ইজি বাইকে আরো ৪/৫জন আসামী ওঠে। তখন আসামী মাকছুদা কৌশলে ইজি বাইক থেকে নেমে যায়। পথ থেকে উঠা ৪/৫ জন আসামী ভিকটিম রাশেদকে মোল্লাহাট থানাধীন কামারগ্রাম সাকিনস্থ গুনির খালের মাথায় ফাকা জায়গায় আটক রেখে ভিকটিমের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তার মোবাইল হতে তার পরিবারের নিকট ভিকটিমকে খুন জখমের ভয় দেখিয়ে ১,৫০,০০০/-(এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা মুক্তিপন দাবি করে। ভিকটিমের পরিবার মোল্লাহাট থানা পুলিশের নিকট সহযোগীতা প্রার্থনা করলে মোল্লাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (সোমেন দাশ) নিজে কৌশলের মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ইং-২৬/০৩/২৩ ই তারিখ ভোর ০৪.০০ ঘটিকার সময় কামারগ্রাম হতে ভিকটিমকে উদ্ধার করেন এবং ঘটনাস্থল হইতে ৪(চার) জন আসামীকে আটক করেন। পরবর্তীতে আসামীদের বিরুদ্ধে মোল্লাহাট থানায় নিয়মিত মামলা রুজুর পর সোমবার আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *