রাজবাড়ীতে সুদ ব্যবসায়ী শাহীন শিকদারের মিথ্যা মামলায়॥
হয়রানির স্বীকার অসহায় পরিবার

শেখ মোঃ বিল্লাল হোসেন : রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের এক অসহায় পরিবারের বিরুদ্ধে সুদ ব্যবসায়ী শাহীন শিকদারের মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারী রাজবাড়ী পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের নিকট মোছাঃ হাফেজা আক্তার সুদ ব্যবসায়ী শাহীন শিকদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে প্রকাশ- আলীপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রী স্ঈাদ ইসলাম এর স্ত্রী হাফেজা আক্তার (৩৬) এর রাজবাড়ী উপজেলা সোনালী ব্যাংকের ৮ পাতার একটি চেক বই শ্রীপুর এলাকা থেকে গত ১৫ জানুয়ারী হারিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাজবাড়ী থানায় ২২ জানুয়ারী হাফেজা আক্তার জিডি করে। জিডি নং- ১১২৯। রাজবাড়ী থানা পুলিশ ব্যাংকের চেক হারানোর জিডিটির তদন্ত করছে। রাজবাড়ী সদর থানার আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়নপুর গ্রামের মৃত- আসমত শিকদারের পুত্র সুদ ব্যবসায়ী শাহীন শিকদার (৪২) গত ২৩ ফেব্রুয়ারী রাজবাড়ী ১ নং আমলী আদালতে একটি চেকের মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় ৪ লক্ষ টাকারদাবীতে সাঈদ ইসলাম ও তার স্ত্রী মোছাঃ হাফেজা খাতুনকে আসামী করে। বিজ্ঞ আদালত সি,আর মামলা- ১৭৯/২৩ মামলাটি তদন্তের জন্য রাজবাড়ী থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন। হাফেজা আক্তার জানান, তার স্বামী সাঈদ ইসলাম গত ১ বছর যাবত ঢাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজে ব্যস্ত থাকায় বাড়ীতে ১ দিনের জন্যও আসতে পারে নি। অথচ গত ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে টাকা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে। আমার সোনালী ব্যাংকের শ্রীপুর শাখার চেক বই জাল স্বাক্ষর করে শাহীন শিকদার ৪ লক্ষ টাকার দাবীতে ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে হয়রানি করছে। শাহীন শিকদারের লোকজন বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমার ২ নাবালক পুত্র নয়ন ও হাফিজুল তাদের ভয়ে স্কুলেও যাতায়াত করতে পারছে না। শাহীন শিকদারের দায়েরকৃত চেকের সি,আর মামলার ১ নং স্বাক্ষী আলীপুর গ্রামের জহির ফকির জানান, সাঈদ ইসলাম ও তার স্ত্রী হাফেজা খাতুন গত ১ বছরের মধ্যে শাহীন শিকদারের নিকট কখনো ৪ লক্ষ টাকা নেওয়ার জন্য যায় নি। সাঈদ ইসলাম গত ১ বছর যাবত গ্রামে আসেনি সে ঢাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজে ব্যস্ত রয়েছে। ৫ নং স্বাক্ষী গোপীনাথদিয়া গ্রামের হাবিবুল্লা মীরের পুত্র আজিজ মীর জানান, এই চেকের মামলা তাকে স্বাক্ষী করা হলেও তিনি ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। রাজবাড়ী উপজেলা কমপ্লেক্সে সোনালী ব্যাংক শাখার ম্যানেজার জানান, হিসাব নং- ২২১২০০২০৩৪৫৮৫ এর চেকধারীর স্বাক্ষরের সাথে উক্ত চেকে, চেক প্রদানকারীর স্বাক্ষর মিল নেই এবং একাউন্টে অপর্যাপ্ত তহবিল রয়েছে। ৪ লক্ষ টাকার চেক মামলার বাদী শাহীন শিকদার জানান, রাজবাড়ী কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানা পুলিশ তদন্ত করছে, তদন্তে আসামীরা দোষী সাবস্ত না হলে তার কিছু করার নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *