কয়লার মূল্য অতিরিক্ত উর্ধ্বমূখৗ হওয়ার কারণে দেশের সাধারণ নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ইট ক্রয়ের ক্ষমতার বাহিরে

সাজেদা আক্তার মুক্তা : ৭০০০/- টাকা টন (সাত হাজার) কয়লার মূল্য ৩১,০০০/- (একত্রিশ হাজার) টাকা টন বাজার মূল হয়েছে এ মৌসুমে। দেশের সাধারণ নি¤œ আয়ের ও মধ্য আয়ের মানুষের ইট ক্রয় করার ক্ষমতা নেই। ৩,০০০ (তিন হাজার) ১নং ইটের মূল্য ৪২,০০০/- (বিয়াল্লিশ) হাজার থেকে ৪৫,০০০/- (পাঁচচল্লিশ) হাজার টাকা বিক্রি করছে। ৩,০০০ (তিন হাজার) ২নং ইটের মূল্য ৩৭,০০০/- (সাইত্রিশ) হাজার থেকে ৩৯,০০০/- (ঊনচল্লিশ) হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে। বর্তমানে কয়লার মূল্য কিছু কমে ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) হইতে ২৮,০০০/- (আটাশ হাজার) হয়েছে। পরে মূল্য বেশি হওয়ায় সাধারণ নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানুষ ইট ক্রয় করতে পারছেন না। ভয়ে ও আতঙ্কে পাঁকা, সেমি পাঁকা ও ভিডি পাঁকা এবং টয়লেট পাঁকা করতে যেয়ে ইটের বেশি মূল্য দেখে ইট ক্রয় থেকে বিরত থাকছে। তারা মূল্য কমার অপেক্ষায় আছে। সুতরাং এতে কারখানায় ইট কম বিক্রি হচ্ছে। এই সময়ে বিক্রি হওয়ার কথা বেশি। কিন্তু হচ্ছে কম। পরে ইট কারখানার মালিক ও ঐ কারখানার ষ্টাফরা বিপাকে পড়ছেন। এদিকে গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ঢাকাসহ ০৫ জেলার অবৈধ ইট ভাটার দুই সপ্তাহের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। আদেশে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায় থাকা অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করে দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরে প্রতিবেদন দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন। এখন মালিক ও ষ্টাফরা অস্থির ও চিন্তিত। ভাটা উচ্ছেদ ও জরিমানা শুরু হয়েছে। একেবারেই হতদরিদ্র গরিব মানুষ নিয়ে ইট ভাটায় কাজ করছেন। এখন মালিকেরা একেবারেই বিপাকে পরেছেন।

এদিকে গাড়িভাড়া অতিরিক্ত বার বার বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত দুর্বল পর্যায় চলে আসছে। করোনাকালীন থেকেই শুরু হয়েছে। এখনো তারা সেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করে স্বচ্ছল অবস্থায় ফিরে আসতে পারে নি। ডিজেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ এর মূল্য কমিয়ে দিয়ে আগের পর্যায়ে ফিরে দেশের মানুষের টাকা স্বাশ্রয় করে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার সু-ব্যবস্থা করার আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু গত ০২ বছর হয়ে গেলো এর কোনো সমাধান খুঁজে পাচ্ছে না মানুষ। আগামীতে রোজা উপলক্ষ্যে মানুষ আবারও আশাবাদী।

দেশের বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, নিত্য প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যের বারবার মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে একেবারেই অতিরিক্ত উর্ধ্বমূখী, যা মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। চাউল, আটা, ময়দা, চিনি, তেল, সাবান, সয়াবিন তৈল, ডালডা। মাংস (খাসী, গরু, মুরগী), ডাল ইত্যাদি এইসকল নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যগুলোর মূল্য কমিয়ে দিয়ে আগের পর্যায়ে ফিরিয়ে এনে দেশের মানুষের রোজা রাখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য দায়িত্বশীলদের প্রতি দাবী জানান।

ঢাকা জেলার সাভার আশুলিয়া জরিপ চলমান। প্রতারক ও দালাল চক্রের কাছে জিম্মি জমির মালিকগণ। বিভিন্ন জেলার থেকে এসে সাধারণ সরল ও অসহায় মানুষ জমি ক্রয় করেন, কিন্তু খাজনা খারিজ, দলিল, পর্চা, মিস-কেস এসব কারণে হয়রানি হচ্ছে কঠিনভাবে। অনলাইন হয়েও মানুষের হয়রানি ও ভোগান্তি কমছে না। মাঠ জরিপেও তারা হয়রানি ও প্রতারিত হচ্ছে। একজনের জমি আরেকজনকে দিয়ে দিচ্ছে। ঘুষ, দূর্ণীতির কারণে অনেক মালিক তার জমি হারাচ্ছেন। বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে যাচ্ছে। জরিপ চলাকালীনও তারা খতিয়ান খোলার সময় ধীর গতিতে আসছেন ভূমির মালিকগণ। আগের থেকে গণসংযোগ করেও তাদের আগ্রহ খুব কম দেখা যাচ্ছে। দলিল জালজালিয়াতি করে দালালচক্র রেকর্ড করিয়ে নিচ্ছে। সূত্রে জানা যায়, সাভার আশুলিয়া থানায় জরিপ চলাকালীন অবস্থায় ৪০০ (চারশত) দালালচক্র রয়েছে। আরও জানা যায় দেশের সকল জেলার দালাল এবং প্রতারক সাভার আশুলিয়া ঢাকা ও অন্যান্য এলাকায় অবস্থানরত আছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *