মোল্লাহাটে প্রতিবন্ধী যুবতী’কে ১২ দিন বেঁধে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ

মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোল্লাহাটে জনৈক সাদ্দাম হোসেন ও অজ্ঞাতনামাসহ তিন যুবকের বিরুদ্ধে দলিত শ্রেণীর বাক প্রতিবন্ধী এক যুবতীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে ১২দিন ধরে বেঁধে ও অর্ধাহারে রেখে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। উপজেলার চাদেরহাট এলাকার দলিত (ঋষি) পরিবারের যুবতী (২৪)’কে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অজ্ঞাত স্থানে একটি টিনের ঘরের মধ্যে বেঁধে ও অর্ধাহারে রেখে সীমাহীন নির্যাতন এবং ধর্ষণ করা হয়। এঘটনায় গত বুধবার থানায় মামলা দায়ের ও ভিকটিমের মেডিকেল সম্পন্ন হয়েছে।

সাদ্দাম হোসেন (২৩) সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানাধীন একশিরা গ্রামের ওয়াজেদ এর ছেলে। সে মোল্লাহাট থানাধীন চাদেরহাট এলাকার কাকড়ি গ্রামের জিবরাঈলের বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করতো।

এজাহার ও ভিকটিমের পরিবার সুত্রে জানাযায়, সাদ্দাম হোসেন দীর্ঘদিন অত্র এলাকায় থাকার সুযোগে ঋষি পরিবারের প্রতিবন্ধী যুবতীকে ফুঁসলিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে একটি টিনের ঘরের মধ্যে কোমর বেঁধে ও অর্ধাহারে রেখে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে। সাদ্দাম তার ঘনিষ্ঠ আরও দুই যুবককে সঙ্গে রাখে এবং তারাও প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে। প্রথমে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করায় মারপিট করাসহ হত্যার ভয় দেখানো হয় বলেও জানান তারা। এরপর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে অসুস্থ ভিকটিমকে চাদেরহাট এলাকায় সড়কে রেখে যায় সাদ্দাম হোসেন। পরে ভিকটিমের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে সাদ্দামের মালিক/মহাজন জিবরাঈলের কাছে বিচার পাওয়ার আশায় মৌখিক অভিযোগ করেন। এতে চরমভাবে ক্ষেপে গিয়ে বিচার দেয়া দুরের কথা, অসহায় ভিকটিমের পরিবারের লোকজনকে খুন-জখম করতে তেড়ে যান এবং হুমকি দেন জিবরাঈল।

এবিষয়ে তথ্য সংগ্রহে গিয়ে জিবরাঈলকে বাড়িতে না পাওয়ায় তার মা রাবিয়া (৬৫) জানান, তার ছেলে মুখ দিয়ে হুমকি দিছে, সাদ্দাম ভালো ছেলে, তার নামে নালিশ দেয়ার কারণে রাগ করছে। এছাড়া জিবরাঈলের স্ত্রী নাজমিন বেগম জানান, তাদের কাজের ছেলের বৌয়ের সাথে ৫/৬ মাস ধরে ঝামেলা চলছে, সেই ঝামেলা নিয়ে বাড়িতে গেছে সাদ্দাম, এরমধ্যে সে কিভাবে এমন ঘটনা ঘটাবে ? মুঠোফোনে জিবরাঈল জানান, তিনি হুমকি দেন নাই।

এবিষয়ে মোল্লাহাট থানা অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশ জানান, যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *