থানাকে জনগণের আশ্রয়স্থল গড়ে তোলার নির্দেশ আইজিপির
ডেস্ক রিপোর্টার : থানাকে আক্ষরিক অর্থে জনগণের আশ্রয়স্থল হিসেবে গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি মঙ্গলবার সকালে যশোর পুলিশ লাইনসে বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার ও ইউনিট কমান্ডারদের এ নির্দেশ দেন। সভায় রেঞ্জাধীন সব জেলার পুলিশ সুপার, বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান এবং বিভিন্ন পদবির পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, পুলিশের সেবা প্রদানের মূল কেন্দ্র থানা। দেশের নাগরিকরা যাতে সহজে, নির্ভয়ে থানায় আসতে পারেন, তাদের সমস্যার কথা বলতে পারেন এবং প্রার্থিত সেবা গ্রহণ করতে পারেন সেজন্য আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন- থানায় নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের সহজে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিশেষ ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশপ্রধান হিসেবে থানার সেবা প্রদানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে চাই। যারা একেবারে সাধারণ মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ, নিরীহ, গরিব, নারী তাদের জন্য থানাকে আমি বিচার পাওয়ার স্থান হিসেবে দেখতে চাই। এজন্য প্রধান ও প্রথম কাজ হবে জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার ও তাদের কথা শোনা এবং অতি দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এক্ষেত্রে যে কোনো ব্যত্যয় গ্রহণযোগ্য হবে না বলে সতর্ক করেন আইজিপি।
পুলিশপ্রধান বলেন, উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী স্মার্ট পুলিশ গঠনের যে নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন সেজন্য আমাদের মানুষের কাছাকাছি যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণের মাধ্যমে জনগণের পুলিশ হওয়ার জন্য আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ এখন আগের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। আগে তদন্ত ছিল সোর্সনির্ভর। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে এখন তদন্তে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বেশিরভাগ অপরাধের রহস্য উদঘাটিত হচ্ছে।
আইজিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতিতে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমনে আমরা সবাই একযোগে কাজ করেছি বলেই দেশে আজ স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশাত্মবোধে উজ্জীবিত হয়ে পুলিশ অতীতে যেভাবে দায়িত্ব পালন করেছে আগামী দিনেও যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা বাংলাদেশ পুলিশের রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সভায় এপিবিএনের অতিরিক্ত আইজিপি ড. হাসান উল হায়দার, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হক, কেএমপি কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞা, যশোর জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।