রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের নতুন উদ্যোগ কাজে লাগাতে হবে
ডেস্ক রিপোর্ট : গত কয়েক দিন যাবত দেশের প্রধান সংবাদপত্রগুলোর প্রথম পাতায় রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বেশ কয়েকটি শিরোনাম হয়েছে। ‘শূন্যরেখার রোহিঙ্গারা ঢুকছে বাংলাদেশে’, ‘সীমান্তে দিনভর গোলাগুলি, নিহত ২, আগুনে পুড়ল ঘর’, ‘সেই রোহিঙ্গা নবীর হাতে গ্রেনেডসহ ভারী অস্ত্র’ ইত্যাদি ইত্যাদি। উল্লিখিত শিরোনামগুলোর মধ্যে শেষ শিরোনামটি ভয়ংকর বার্তা বহন করছে সন্দেহ নেই। দৈনিক যুগান্তরে এই ভয়ংকর সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে। রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলোতে আধিপত্য বিস্তার ও নিজেদের শক্তিমত্তা প্রদর্শনের জন্য রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী দলগুলোর মধ্যে যে প্রতিযোগিতা চলছে, এটি তারই উদাহরণ। উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয়শিবিরে ছদ্ম বেশে আত্মগোপনকারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার শুরু করেছে।
সন্ত্রাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি এম-১৬ ও রাশিয়ার তৈরি একে-৪৭ ব্যবহার করছে। অত্যাধুনিক আরজেস গ্রেনেডও সন্ত্রাসীদের হাতে চলে এসেছে। এম-১৬ রাইফেল এতই ক্ষমতাশালী যে, এ রাইফেল দিয়ে ১ মিনিটে ৭০০ থেকে ৮৫০টি গুলিবর্ষণ করা যায়। একে-৪৭ এর ক্ষমতা এম-১৬ তুলনায় কিছুটা কম। এটি দিয়ে ১ মিনিটে ৬০০টি গুলিবর্ষণ করা যায়। এসব হাতিয়ার রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে চলে যাওয়ায় স্বাভাবিক কারণেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবির থেকে বহুল আলোচিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন বাহিনীর অন্যতম সদস্য মো. নবীর বাড়ি থেকে একটি গ্রেনেড উদ্ধারের পর পরীক্ষা করে দেখা গেছে, গ্রেনেডটি বর্তমানে আধুনিক সামরিক বাহিনীতে ব্যবহৃত আরজেস গ্রেনেড। সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া নবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, সীমান্তের কাছাকাছি তোতারদিয়ায় নবী হোসেন বাহিনীর গোপন আস্তানায় শতাধিক গ্রেনেড ও বিপুলসংখ্যক আধুনিক অস্ত্র মজুত আছে। এ গোপন আস্তানা থেকে অস্ত্র ও গ্রেনেড বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সবচেয়ে ভয়ের কারণ হলো, এসব অস্ত্র ও গ্রেনেড দিয়ে নবী হোসেন বাহিনীর সন্ত্রাসী সদস্যরা বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালাতে পারে। তোতারদিয়া মিয়ানমার ও বাংলাদেশ, উভয় দেশে বিস্তৃত বিধায় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে অভিযান চালিয়ে কথিত গ্রেনেড ও অস্ত্র উদ্ধার করতে পারছে না।
প্রশ্ন হচ্ছে, এ বিপুলসংখ্যক অস্ত্র ও গ্রেনেড নবী হোসেন কোন উৎস থেকে সংগ্রহ করেছে? এত অর্থ তারা পেল কোথা থেকে? জানা যায়, গত বছর প্রায় হাজার কোটি টাকা অস্ত্রের কালোবাজারি ব্যবসায়ীদের কাছে দিয়েছে নবী হোসেন। মাদক ও মানবপাচারের জন্য পরিচিত মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের মেই নদী-মায়ে সোট এবং বার্মিজ শহর মায়াওয়াদ্দি হয়ে এ অস্ত্রের চালান আসার কথা ছিল।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ‘রাখাইন রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত আরাকান আর্মিও থাইল্যান্ড-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার কালোবাজারিদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ ক্রয় করে থাকে। আরাকান আর্মি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম-৬০ রাইফেলও ক্রয় করেছে এখান থেকেই। এমনকি চীন মিয়ানমার জান্তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও চীনের তৈরি অস্ত্রও আরাকান আর্মির কাছে আছে। সম্প্রতি তারা চীনের তৈরি ৮২ মিলিমিটার মর্টারও তাদের অস্ত্রভাণ্ডারে যুক্ত করেছে।
ডাকাতি, অপহরণ ও ছিনতাই করে ২০১৮ সালে লাইম লাইটে আসে নবী হোসেন। প্রাথমিক পর্যায়ে দেশে তৈরি পাইপগানজাতীয় শতাধিক অস্ত্রের মজুত ছিল নবী হোসেন বাহিনীর। পাহাড়ি অঞ্চলের বিভিন্ন কারখানার লেদ মেশিনে এসব অস্ত্র তৈরি হয়। একসময় বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বাহিনীও এসব অস্ত্র দিয়ে তাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছিল। পরে পার্শ্ববর্তী একটি দেশের সহযোগিতায় কিছু আধুনিক অস্ত্রের ভাণ্ডার শান্তি বাহিনীরা গড়ে তুলেছিল। বর্তমানে নবী হোসেন বাহিনীতে অস্ত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শতাধিক সদস্য আছে। নবী হোসেন বাহিনী রোহিঙ্গা ভাষায় বেশ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইউটিউব চ্যানেল চালু করে নানা রকম কার্যক্রমও প্রচার করছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এত অল্প সময়ের মধ্যে নবী হোসেন এত বড় এক বাহিনী গড়ে তুলল কী করে? দেশে বেশির ভাগ মাদকের চালান ঢুকছে নবী হোসেন ও তার দলবলের হাত ধরে। ইয়াবার পাশাপাশি ভয়ংকর মাদক আইসের নিয়ন্ত্রণও তার হাতে বলে জানা যায়। বর্তমানে তিনি মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে গড়ে ওঠা অর্ধশতাধিক ইয়াবা ও আইসের কারখানা নিয়ন্ত্রণ করে। মূলত মাদক চোরাচালানের মাধ্যমেই হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে নবী হোসেন। নবী হোসেন বাহিনীর সঙ্গে মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে। তাদের সহযোগিতায়ই নবী হোসেন সন্ত্রাসী দলটি গঠন করতে সক্ষম হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।
উদ্বেগজনক হলো, আশ্রয়শিবিরে গড়ে ওঠা আনুমানিক ২০ থেকে ৩০টির মতো সন্ত্রাসী দল নবী হোসেন দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছে। কথিত আছে, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসাও মিয়ানমারের সার্বিক সহযোগিতায় বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, মিয়ানমার সরকার একদিকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবসন নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে, অপরদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সন্ত্রাসী দলগুলোকে মদদ দিয়ে পরিকল্পিতভাবে আশ্রয়শিবিরগুলোকে অশান্ত করে রাখছে; বিশেষ করে নবী হোসেন বাহিনী ও আরসার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধিয়ে শিবিরগুলোতে অশান্ত পরিবেশ তৈরি করছে, যাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রোহিঙ্গারা সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত হয়।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে বসবাস করছে ১১ লাখ ১৮ হাজার ৯১৩ জন রোহিঙ্গা। প্রত্যাবাসন না হওয়ায় গত ৫ বছরের বেশি সময় ধরে অবস্থান করছে তারা এ দুই উপজেলায়। কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে, শিবিরগুলোর পরিস্থিতি ততই যেন ভয়ংকর হয়ে উঠছে। নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে দিন-দুপুরে জড়িয়ে পড়ছে গোলাগুলি, খুন, চাঁদাবাজি, মাদক পাচারসহ নানা অপরাধে। এ পরিস্থিতি যেন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে স্থানীয়রা যেমন চিন্তিত, তেমনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরাও সক্রিয়। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ৫ বছরে হত্যা, ডাকাতি, অপহরণ, ইয়াবা পাচারসহ নানা অপরাধে দুই হাজার ৪৩৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি হয়েছে পাঁচ হাজার ২২৬ জন। খুন হয়েছে ১১৫ জন। এর মধ্যে ধর্ষণ মামলা হয়েছে ৮৮টি। আর মাদক উদ্ধার মামলা হাজারের কাছাকাছি। গত চার মাসে উখিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে আরসার সঙ্গে নবী হোসেন বাহিনীর একাধিকবার সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসব সংঘর্ষে অন্তত ২৩ জন রোহিঙ্গা মারা গেছে। ৩৭ জনকে অপহরণ করা হয়েছে; এর মধ্যে ১৭ জন রোহিঙ্গা, ২০ জন স্থানীয়। এসব কারণে দিন যতই গড়াচ্ছে, রোহিঙ্গা সন্ত্রসীরা দেশের নিরাপত্তার জন্য ততই হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে এখন তেমন কোনো আলোচনা হয় না। অথচ ২০১৭ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হলেও একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত পাঠানো যায়নি। সেই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, দুই বছরের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হবে। আন্তর্জাতিক কোনো গ্যারান্টি ছাড়া তাড়াহুড়া করে এ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছিল। চুক্তিতে কিছু দুর্বলতাও ছিল। তাড়াহুড়া করে এ চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ভারত ভূমিকা রেখেছিল বলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা আছে। সুপ্রতিবেশী হিসাবে বাংলাদেশ যে আস্থার সঙ্গে ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল, তার যথাযথ সম্মান মিয়ানমার দেখায়নি। চুক্তির দুর্বলতার পুরোপুরি সুযোগ তারা নিয়েছে। ভারতও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে তেমন জোরালোভাবে বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়ায়নি।
দেরিতে হলেও বাংলাদেশ সরকার হয়তো উপলব্ধি করেছে, আন্তর্জাতিক মহলের সম্পৃক্ততা ছাড়া অন্য কারোর পরামর্শে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করা ঠিক হয়নি। এ মহামানবিক সমস্যা সমাধানে বৃহৎ শক্তিগুলোর ভূমিকাও স্পষ্ট নয়। মুখে যতই মানবাধিকারের কথা শোনা যাক না কেন, আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের বেলায় সব রাষ্ট্রই তাদের নিজের স্বার্থকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তা না হলে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত মিয়ানমারের প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত থাকে কী করে! মিয়ানমারের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব এবং ওই দেশে মজুত প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ভারতসহ অন্যান্য দেশ তাদের বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও অন্যান্য অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বৃহৎ শক্তিগুলোর এহেন ভূমিকা সত্যিই দুঃখজনক। সহসাই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব হবে না আরও একটি কারণে। এ মুহূর্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত রাখাইনে আরাকান আর্মির সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণে। মিয়ানমারের অন্যান্য অঞ্চলেও সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিদ্রোহী সশস্ত্র গ্রুপ বেশ তৎপর। বলা যেতে পারে, আরাকান আর্মিসহ সশস্ত্র গ্রুপগুলোর কাছে সরকারি বাহিনী অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। মিয়ানমার সরকার যে পর্যন্ত এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে স্থিতিশীল অবস্থান নিশ্চিত করতে না পারবে, ততদিন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনও সম্ভব হবে না।
প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে তাদের নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান করা হয়েছে। গত ২২ ডিসেম্বর মিয়ানমার পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে। যদিও প্রস্তাব উত্থাপন হওয়ার পর বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র ভারত, চীন ও রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল। প্রস্তাবে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা, জরুরি অবস্থা ও বন্দিমুক্তিসহ অন্যান্য বিষয় তুলে ধরে রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আলোচনায় বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার দুর্বিষহ অবস্থার কথা গুরুত্ব পেয়েছে। এত দীর্ঘ সময় ধরে শিবিরে অবস্থান করে রোহিঙ্গারা যে নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে, তা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সুখকর নয়। আশ্রয়শিবিরগুলোতে সন্ত্রাসীদের দমন ও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে যৌথ অভিযান শুরু করা হলেও সংঘর্ষ থেমে নেই। দিন দিন তারা যেভাবে মারমুখী হয়ে উঠছে, তাতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে না পারলে অদূরভবিষ্যতে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হবে। সশস্ত্র গ্রুপগুলো, একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে যে ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে, মিয়ানমার সে পরিস্থিতির পুরো ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করবে। এ কথা ঠিক, রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশ একটি বড় ধরনের সংকটের মধ্যে আছে। যে করেই হোক বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা আরও শানিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের নতুন যে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, বাংলাদেশকে তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে হবে।