স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার পিতা মহানগর
কৃষকলীগের যুগ্ম আহবায়ক!

নিজস্ব সংবাদদাতা: বন্দরে এক বহুরূপী নেতার আর্বিভাব ঘটেছে যিনি একাই সব কমিটিতেই থাকতে
চান। যার নাম জহিরুল ইসলাম মুন্সি। জহিরুল ইসলাম মুন্সি ২০নং ওয়ার্ডের
মাহমুদনগর এলাকার বাসিন্দা। এক সময় বিএনপি’র সমর্থক হিসেবে এলাকায় চাউর
থাকলেও ইদানীং মহানগর আওয়ামীলীগের কতিপয় নেতার পিছনে পিছনে থাকার সুবাদে
সে এখন মহা আওয়ামীলীগার হিসেবে জাহির করতে চলেছেন। বিভিন্ন সময়ে সে ২০নং
ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি,মহানগর শ্রমিকলীগের সদস্য এবং চলতি বছরে
মহানগর কৃষকলীগের যুগ্ম আহবায়ক পদে অধিষ্ঠিত হন তিনি। মাত্র ক’বছরের
ব্যবধানের জহির মুন্সি এতো বড় পদ পেয়েও তাতে যেনো সন্তোষ্ট নন তিনি তার
চাই আরো বড় পদ। তাই সে এবার ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে আসীন হতে
মরিয়া হয়ে উঠেছেন। একের পর এক ছুটে চলেছেন নেতাদের দ্ধারে দ্ধারে। তবে
জহিরুল ইসলাম মুন্সি এক সময় বিএনপি করলেও বিগত কয়েক বছরে সে নিজেকে
আওয়ামীলীগার হিসেবে জন সম্মুখে মেলে ধরতে সক্ষম হলেও বিএনপি’র গন্ধ তার
শরীর থেকে সরাতে পারেননি যে কারণে তার ছোট ছেলে আজহারুল ইসলাম শাকিল
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক। বাপ-বেটার আওয়ামীলীগ বিএনপি’র
পদ-পদবী নিয়ে গোটা ২০নং ওয়ার্ড জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জানান,জহিরুল ইসলাম
মুন্সি নিজের ঘরইতো সামলাতে পারেন না সে আবার ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের
সভাপতি হতে চায় কি করে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে আওয়ামীলীগের দুর্দিনে তার
কোন অবদান ছিলনা। আন্দোলন সংগ্রামে তাকে কখনো মাঠে দেখা যায়নি তার মতো
অযোগ্য-অথর্ব ব্যক্তি কার আর্শীবাদে সভাপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখছে জানি না
আমি মনে করি জহির মুন্সি সভাপতিতো দূরের কথা ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের
সদস্য হওয়ারও যোগ্যতা নেই। এমনিতেইতো তার কোন নীতি নেই কখনো
শ্রমিকলীগ,কখনো কৃষকলীগ কখনো বা আবার আওয়ামীলীগের পদের জন্য লালায়িত হয়ে
থাকে। বরং তার মতো ব্যক্তিকে দল থেকে বহিস্কার করা উচিত। অপরাপর যুবলীগ
নেতা বলেন,জহিরুল ইসলাম মুন্সি জীবনে কোন দিন রাজনীতি করেননি। বিগত ২৫
বছর সে সৌদী প্রবাসে জীবন কাটিয়ে প্রায় ৭ বছর ধরে তার ছেলেকে শহরের
জল্লারপাড় এলাকায় জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদিরের বোনের মেয়ের
সঙ্গে বিয়ে দেয়ায় সম্পর্কে আব্দুল কাদির বিয়াই হওয়ার সুবাদে মহানগর
আওয়ামীলীগের গুটি ক’য়েক নেতার সাথে পরিচয় ঘটে সেই থেকে জহির মুন্সি বনে
যান আওয়ামীলীগার। স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মনে করেন
ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামীলীগের মূল দলে বাছাই করা সাচ্চা আওয়ামীলীগারদেই
দেয়া উচিত। জহির মুন্সিদের মতো হাইব্রিডরা ভাল কোন পদে আসীন হলে
আওয়ামীলীগের ভীত নড়বড়ে হয়ে পড়বে। বিষয়টি দলের নীতি-নির্ধারকদের বিবেচনার
বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *