ভূমি দখল ও ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায়
বন্দরে চান্দু মেম্বারের বিরুদ্ধে
আদালতে ২ মামলা
নিজস্ব সংবাদদাতা : বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য চান শরীফ ওরফে চান্দু মেম্বারের
বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আদালতে দুইটি মামলা হয়েছে। যার একটি হচ্ছে
চাঁদাবাজী অপরটি ৭ ধারা। দু’টি মামলার বাদীই বন্দরের রুস্তমপুর গ্রামের
নিরীহ ভূমি মালিক শহীদুল্লাহ মিয়া। বাদী শহীদুল্লাহ মিয়া তার মামলায়
উল্লেখ করেন,সম্প্রতি তার খরিদা ৩০শতাংশ সম্পত্তির ১৩শতাংশ জমির ভূয়া
ওয়ারিশের কাছ থেকে পাওয়ার নিয়ে তার পক্ষে সন্ত্রাসী গ্যাং নিয়ে জোরপূর্বক
জমি দখলের চেষ্টায় হামলা ও ভাংচুর তান্ডব চালায়। সেই জমি ফিরে পেতে
নারায়ণগঞ্জ বন্দর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে ৭ ধারা একটি পিটিশন
দাখিল করেন। যার নং ১২৩/২২,একই মাসে একই সম্পত্তি দখলে নিতে ব্যর্থ হওয়ায়
নিরীহ শহীদুল্লাহ মিয়ার কাছে প্রকাশ্যে ১৫ লাখ টাকার চাঁদা দাবী করেন।
দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে চান্দু মেম্বার ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা শহীদুল্লাহ
মিয়াকে নানাভাবে হয়রানিসহ হত্যার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। চাঁদাবাজী
হুমকি-ধামকি থেকে নিস্তার পেতে চান্দু মেম্বার গংয়ের বিরুদ্ধে
নারায়ণগঞ্জের বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী-ঘ আদালতে
চাঁদাবাজীর পিটিশন করেন। যার নং ৭২০/২২। চান্দু মেম্বারের অবধারিত
কর্মকান্ড প্রসঙ্গে এলাকার জনৈক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে
জানান,বিগত ১০ বছর পূর্বে চান্দু মেম্বার ফতুল্লার বিসিকের এইচ.ডি
গার্মেন্টসে সামান্য ওভারলক ম্যান হিসেবে কাজ করতো। মাত্র ১২বছরে
ব্যবধানে সে প্রায় ২০/২৫টি জমি ও বাড়ির মালিক বনে গেছেন। পুরান বন্দর
চৌধূরী বাড়ি বাজারের অহিদুল ভেন্ডারের চেম্বারের পাশে তার ৪শতাংশ জমি
রয়েছে,কাজী বাড়ী সিড়ি ঘাটলার পাশে ৩শতাংশের উপর মাদ্রাসা গড়ে তুলেছেন।
অতি সম্প্রতি একই এলাকার জনৈক আক্তার হোসেনের ৩২শতাংশ জমি জোরপূর্বক
বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এর আগেও রুস্তমপুর গ্রামের
ইসমাঈল নামে আরো এক ব্যক্তির ৩শতাংশ জোরপূর্বক অন্যত্র বিক্রির পাঁয়তারা
চালাচ্ছে। চান্দু মেম্বারের অব্যাহত অপকর্ম ও ভয়ানক কবল থেকে মুক্তি পেতে
প্রশাসনের উচ্চ মহলের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে
ভুক্তভোগীরা।